বাংলা৭১নিউজ,(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় দুর্বৃত্তের ছোড়া অ্যাসিডজাতীয় দাহ্য পদার্থে দুই মাসের শিশুসহ একই পরিবারের চারজনের মুখমণ্ডল ও শরীর ঝলসে গেছে।
তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি সোমবার গভীর রাতে হলেও গণমাধ্যমকর্মীরা মঙ্গলবার রাতে জানতে পারেন।
দগ্ধ হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বাইগাছা গ্রামের আফজাল হোসেন (৩৮), তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩২), মেয়ে মলি খাতুন (৮) ও দুই মাসের শিশুকন্যা আফসানা খাতুন।
পুলিশ ও নিকটাত্মীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে আফজাল হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। গরমের কারণে ঘরের জানালা খোলা ছিল। রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা জানালা দিয়ে অ্যাসিডজাতীয় তরল দাহ্য পদার্থ ছুড়ে মারে।
ফলে ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা চারজনেরই শরীর ও মুখমণ্ডলে তা পড়ে। সবাই চিৎকার দিয়ে ওঠেন। গড়াগড়ি শুরু করেন। পরে বাবা ও মা তাদের সন্তানদের নিয়ে ঘরের বাইরে চলে যান।
এ সময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা দগ্ধ চারজনকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তারা হাসপাতালের ছয় নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুই মাসের শিশু আফসানা ও তার মা জেসমিনের শরীরে অ্যাসিডজাতীয় পদার্থ বেশি পড়ে।
আফজাল হোসেনের ভাগ্নে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল হোসেন বলেন, তার মামার কারও সঙ্গে বিরোধ নেই। দুর্বৃত্তরা কেন এই অমানবিক কাজ করেছে, তা বুঝতে পারছেন না। তবে তার মামার তালাক দেয়া দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঝামেলা হতো।
এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ দেখছেন না। তারা সুস্থ হলে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘরের বিছানাপত্র পুড়ে গেছে। আলামত যাতে নষ্ট না হয় এ জন্য ঘরটি তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নমুনা দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, অ্যাসিডই নিক্ষেপ করা হয়েছে। পুলিশের একটি দল রাজশাহীতে গিয়ে দগ্ধ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছে। পুলিশ ঘটনাটিকে স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবে তদন্ত শুরু করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে