রাজবাড়ীর গোদার বাজারে নদীতীর রক্ষা বাঁধে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে ভাঙনে মুহূর্তের মধ্যে প্রায় দেড়শ মিটার এলাকার কংক্রিটের ব্লক নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে এ দফায় ভাঙন শুরু হয়।
এদিকে ভাঙন আতঙ্কে বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয়রা। এখন ভাঙন হুমকিতে রয়েছে ওই এলাকার আধাপাকা প্রায় ২০টি বসতবাড়ি, মসজিদসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
রাজবাড়ীতে পদ্মার ডানতীর রক্ষা বাঁধের (ফেজ-২) সাড়ে ৪ কিলোমিটার নতুন ও (ফেজ-১) সংশোধিত আড়াই কিলোমিটারসহ মোট ৭ কিলোমিটার নদীতীর রক্ষা বাঁধের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হলেও জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় ভাঙন। ফলে এখন পর্যন্ত নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প দুটির প্রায় ২১টির প্রায় ১ হাজার মিটার এলাকার ব্লক নদীতে বিলিন হয়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল, বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা।
৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয়রা জানান, ভাঙতে ভাঙতে নদী এখন বাঁধের রাস্তার সঙ্গে চলে এসেছে। তীর রক্ষা বাঁধের কাজ ভালো না হওয়াতে এভাবে ভাঙছে। এখন তাদের কষ্ট করে করা বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে, কিন্তু কাজ ভালো হয় না। এর মূল্য দিতে হচ্ছে তাদের।
রাজবাড়ীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ এ বিষয়ে জানান, ভাঙন রোধে তারা জিও টিউব ফেলার কাজ শরু করবেন। মূলত নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও পানি কমার কারণে এখন ভাঙছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে