স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, জনগণকে স্বল্প খরচে উন্নত সেবা দিতে সরকারি হাসপাতালে বিকেলবেলার স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনসেবামূলক এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ও বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের ২৭তম কম্প্রিহেনসিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালগুলোতে দুপুর ২টার পর আর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকে না। তারা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখে। আমরা চেয়েছি যে ডাক্তাররা প্রাইভেট ক্লিনিকে না গিয়ে সরকারি হাসপাতালেই যেন বিকেলবেলায় প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখতে পারেন। এখানে বাইরে যে ফি নেন ডাক্তাররা, আর এখানে তার এক-তৃতীয়াংশ অর্থ নেবেন।
তাছাড়া হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি থাকেন, তাদেরও অনেক সময় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। আমাদের এ সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিকেলেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকবে। এতে সেবার মান আরও উন্নত হবে।’ এ সিদ্ধান্তে ডাক্তার, নার্স ও রোগী সবাই খুশি বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধী দলের সমালোচনাকে অহেতুক বলে মন্তব্য করেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল সমালোচনা করবেই। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ করা। করোনা টিকা নিয়েও তারা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। আবার তারাই আগে টিকা নিয়েছে।’
এ সময় দেশের স্বাস্থ্যখাতে দ্বিগুণেরও বেশি নার্স প্রয়োজন বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা গত ১০ বছরে ৩৪ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি, সামনে আরও নিয়োগ দেয়া হবে। আমাদের যে নার্স আছে তার দ্বিগুণের বেশি প্রয়োজন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার জন্য নার্সদের ভূমিকা অনেক। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর স্পেশালাইজড নার্স তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। এ জন্য তাদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের আওতায় এনে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এতে নার্সিং সেবা অনেকদূর এগিয়ে যাবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে বর্তমানে ৮৫ হাজার নার্স কাজ করছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার সরকারি, আর বাকিরা বেসরকারি। দেশে নার্সদের ৩৫০টি ইনস্টিটিউটে ৩৪ হাজার সিট আছে।
এবার ডিপ্লোমা ইন নাসিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি; ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি; ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি এবং বিএসসি ইন নার্সিং এই ৪টি কোর্সের লাইসেন্সিং পরীক্ষায় অংশ নেন প্রায় ১২ হাজার পরীক্ষার্থী।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম