অবশেষে রাজনৈতিক দল হিসেবে চুড়ান্তভাবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেন, বিএনএম ও বিএসপি-কে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন। শিগগিরই তাদের সনদ দেয়া হবে। আমরা বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাব।
প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন নেয়ার জন্য আবেদন জমা দিতে বলে ইসি। এবারও তেমন আহ্বান জানালে ১৯৬টি দল আবেদন করে। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে ১২টি দল শর্ত পূরণ করে। তাদের দেয়ার তথ্য অধিকতর যাচাই-বাছাই করলে তদন্তে টেকে গণঅধিকার পরিষদ, বিএনএম, বিএসপি ও এবি পার্টি। পরবর্তী উচ্চ পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে তদন্তের পর সেখান থেকে বাদ পড়ে গণঅধিকার পরিষদ ও এবি পার্টি।
এদিকে বিএনএম ও বিএসপির বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ পড়ে নিবন্ধন না দেয়ার জন্য। সেই আবেদনগুলো সম্প্রতি শুনানিতে না টিকলে নিবন্ধন পেয়েই গেল দল দুটি। এ নিয়ে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪৪টি।
এর আগে বিএনএমকে ভুঁইফোড় সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিবন্ধন না দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী আবু নাছের খান।
অপরদিকে বিএসপির বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। একটিতে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করেন দলের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদের ছোট ভাই শাহাজাদ সৈয়দ শহিদউদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ও তার দুই বোন। অন্যটিতে নামের মিল থাকার অভিযোগ তোলেন বাংলাদেশ শ্রমজীবী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লায়ন আব্দুল কাদের জিলানী।
বিএনএমের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপির সাবেক দুই নেতা। বিএনএমের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুর রহমান বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য। দলের সদস্যসচিব মেজর (অব.) মো. হানিফ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য। ২০২১ সালে গঠিত হয় দলটি। তখন এই দল গঠনের পেছনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরকারের কোনো ‘ষড়যন্ত্র’ থাকতে পারে, এমন অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। বিএনপি নেতাদের কাউকে কাউকে এই দল থেকে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে, এমন আলোচনাও রাজনৈতিক অঙ্গনে আছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগঘেঁষা একটি রাজনৈতিক জোটেরও চেয়ারম্যান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ