বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দলের নামের সঙ্গে মিল রেখে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংগঠনকে রাজনীতি ও দেশের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি এগুলোকে ‘রাজনৈতিক দোকান’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার ভাষ্য, ‘ভুঁইফোড় দোকান বন্ধ করে দিতে পারলে দল, দেশ ও জনগণের জন্য দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে রবিবার (১১ জুন) ঢাকার লেডিস ক্লাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। নগর নেতাদের উদ্দেশে তার বক্তব্য, ‘ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চাঁদাবাজির দোকান বন্ধ করে দিন। চাঁদাবাজির দোকানে আপনারা গেলে উৎসাহিত হয়।’
আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এসব দোকানদাররা এখন ইফতার পার্টির দাওয়াত নিয়ে আসে। চাঁদাবাজি করে ইফতার পার্টির জন্য। ঈদকে সামনে রেখে তারা চাঁদাবাজি করছে। তাদের প্রতি আহ্বান জানাই, চাঁদাবাজির দোকান বন্ধ করুন।’
ইফতারের আগে আলোচনা সভার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা আমাদের নেত্রীকে অনুসরণ করুন। ইফতার মাহফিল আয়োজন করে তিনি কোনও ভাষণ দেন না। এখন পর্যন্ত কোনও ইফতারে তাকে রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে দেখিনি। বরং তিনি দোয়া দরুদ পড়েন। আমাদের সবারই শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করা উচিত। আওয়ামী লীগ কখনও রোজা রেখে ইফতারে মিথ্যাচারের আসর বসায় না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও ছিলেন আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপুমনি, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহানগর দক্ষিণ শাখা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, নগর উত্তর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস