অভিনয়ে হাত পাকিয়ে এবার রাজনীতিতে নেমেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচিত হলে অভিনয় না রাজনীতি, কোনটিতে থাকবে মনোযোগ- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহিয়া মাহি বলেছেন, দুটোই চালিয়ে যেতে চান তিনি। রাজনীতি থেকে যে আয় করবেন, তার পুরোটাই বিলিয়ে দিতে চান জনগণের মাঝে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউসে রাজশাহীর প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহি। তখনই নিজের এই ইচ্ছার কথা জানান।
মাহি বলেন, অভিনয়টা আমার গ্রোথ। এই অভিনয়ের কারণে আপনারা আমার ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। এখানে কিন্তু অনেক প্রার্থী ছিলেন, আপনারা সবার ইন্টারভিউ তেমনভাবে নেননি, আমার সাথে কথা বলছেন। সেই পরিচিতির জায়গাটা আমাকে যে ইন্ডাস্ট্রি দিয়েছে তারা ছাড়া আমার কোনো অস্তিত্ব নেই।
তাদের বাদ দিয়ে অন্য কিছু আমার দ্বারা সম্ভব নয়। কিন্তু অভিনয়টা অভিনয়ের জায়গায় থাকবে, আমি মানুষের সেবা করব। রাজনীতির মূলনীতি মানুষের সেবা করা। মানুষের সেবাটা করব, আর অভিনয়টা চালিয়ে যাব। আমি তো ইনকাম করব অভিনয় থেকে। রাজনীতি থেকে যে ইনকাম হবে সেগুলো জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেব।
ভোটের মাঠে কোনো হুমকি পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ভোটের মাঠে আমি কোনো থ্রেট পাইনি। আপনাদের (সাংবাদিকদের) জন্য থ্রেট দিবে না আশা করি। কর্মীরাও থ্রেট পায়নি, সেটাও আপনাদের জন্য। কিন্তু যে মাইক ভাড়া দিবে, সে রিজার্ভ করা মাইক নিয়ে আর বের হলো না। তার ভয়, মাইকটা ভেঙে ফেলবে বা তাকে মাইর দিবে। এ রকম বিষয় হচ্ছে। এগুলো বলেছি সিইসিকে।
আমি অন্য কৌশলে ওই এলাকায় প্রচারণা করব। কিছুই যদি না থাকে, তাহলে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার মতো ব্যাপার। আপনারা সাংবাদিকরা আছেন। আপনাদের কলম, আপনাদের লেখনি- সেটাই হচ্ছে আমার একটা পাওয়ার। আমাকে ভোটের মাঠে কোনো ডিস্টার্ব করলে সেটা যে আপনারা প্রতিহত করার চেষ্টা করবেন এবং ঢালাওভাবে প্রচার করবেন এটার জন্য হয়তোবা ভয়ে আমাকে কেউ ডিস্টার্ব করবে না এবং আমার পেশি শক্তির সেরকম দরকার হবে না।
মাহি বলেন, সভায় বলেছি, আমার এলাকাটা তো মানুষ এমনিতেই ভয় পায়। কারণ, সহজ-সরল মানুষকে কিছু বললেই তারা অনেক ভয় পেয়ে যায়। আমি শুধু বলেছি, কোনরকম সহিংসতা-আতঙ্ক যেন বিরাজ না করে।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এবং সুষ্ঠু কীভাবে হবে এগুলো নিয়ে তিনি ব্রিফিং করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনবারই এ রকম আইন ছিল না যে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখালে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধ। এবার আইন সংশোধিত হয়েছে। কেউ যদি ভোটার পরিচয়ে ফোন করে পুলিশকে বলে, আমি ভোটার, আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে। সে রকম যদি হয়, সাথে সাথে এটার একটা অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমাদের নিশ্চিত করেছেন, এবার ভোট সুষ্ঠু হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ