শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পাঁচ বছরে ১২ শতাংশের বেশি ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ ভারতীয়দের ধাওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ফের উত্তেজনা বড় জয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের মাল্টিপ্ল্যান মার্কেট দখলে রাখতেই ইমনের নামে মামলা বান্দরবানে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত এত ক্ষমতার মালিক তো দেশ ছেড়ে পালালেন কেনো লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৪৭ বাংলাদে‌শি ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক জাতীয় কবির নাতির চিকিৎসায় ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে টিসিবির সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা করছি চোরদের আর ভোট দেবেন না : উপদেষ্টা সাখাওয়াত বাণিজ্যমেলায় ৫০০ ধরনের খাদ্যপণ্য প্রদর্শন করছে প্রাণ রাজধানীর ৬ স্থানে বসবে ন্যায্য মূল্যের ‘জনতার বাজার মাজার-দরগাহে হামলা-ভাঙচুরে গ্রেফতার ২৩ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ট্রাম্প ও শি জিনপিং ফোনালাপ, সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত এক বছরে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৪৬ শতাংশই স্কুলপড়ুয়া আরাকান আর্মির কবজায় টেকনাফের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ৪ জাহাজ ঘটনাস্থলেই স্ত্রীর মৃত্যু, শিশুসহ আহত সেনাসদস্যকে আনা হলো ঢাকায় এনসিটিবির সামনে হামলার ঘটনায় মামলা

রাজধানীর ৬ স্থানে বসবে ন্যায্য মূল্যের ‘জনতার বাজার

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং জনজীবনে স্বস্তি আনার লক্ষ্যে রাজধানীর ৬ স্থানে ‘জনতার বাজার’ নামে ন্যায্য মূল্যের বাজার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) কামরাঙ্গীরচর কুড়ারঘাট মেডিকেল মোড়ে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ। 

এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বড় সহায়ক হবে। তবে পণ্যের সরবরাহ, বাজারের নিরাপত্তা ও পণ্যের পরিমাণ যেন বেশি হয়– এসব বিষয়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দেন তারা। 

সভায় তানভীর আহমেদ বলেন, ক্রেতাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য আসা পর্যন্ত কয়েকটি হাত বদল হয়। তাতে পণ্যের দর কয়েক গুণ বাড়ে। মধ্যস্বত্বভোগীর এই দৌরাত্ম্য কমাতে এমন উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে। মূলত সরাসরি কৃষক ও ভোক্তাদের সংযোগ স্থাপনের জন্য এই বিশেষ বাজার স্থাপন করা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, এই বাজারের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এতে সহায়তা করবে কৃষি বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ বাজার টেকসইভাবে পরিচালিত হবে এবং রাজধানীর মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে।

সভায় জানানো হয়, নিত্যপণ্যের বাজার এখন বেশ চড়া। অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে পণ্যমূল্য। কিছু অসৎ ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাতে ভোক্তার ওপর বাড়ছে চাপ। দেখা দিয়েছে জনঅসন্তোষ। উৎপাদক ও আমদানিকারকের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য এনে বিক্রি করলে এসব দৌরাত্ম্য দূর হবে।

এ জন্য বিভিন্ন জেলায় এরই মধ্যে প্রশাসনের মাধ্যমে এ ধরনের বাজার বসানো হয়েছে। তা জনমনে ইতিবাচক সাড়া ফেলছে। এ কারণে আশপাশের বাজারেও পণ্যের দর কমতে শুরু করেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ঢাকায় বাজার বসানো হচ্ছে।

জনতার বাজারে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, সবজিসহ নিত্যপণ্য সাশ্রয়ী দামে বিক্রি হবে। প্রাথমিকভাবে কামরাঙ্গীরচর সহ ঢাকার ছয় স্থানে বাজার বসলেও পর্যায়ক্রমে পরিসর বাড়বে। বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারি জায়গায় অবকাঠামো নির্মাণ করে স্থানীয় উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী এবং বেকার যুবকদের সম্পৃক্ত করা হবে।

শুধু খুচরা বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। পণ্য কেনার জন্য একটি নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুসরণ করা হবে। ক্রেতারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাকা পরিশোধ করে একটি কোড পাবেন, যা দেখিয়ে পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

বাজারের বিশেষত্ব

বাজার পরিচালিত হবে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর-সংস্থার সহযোগিতায়। দেশের যেখানে যে পণ্যের দাম তুলনামূলক কম থাকবে, সেখান থেকে পণ্য এনে সরাসরি এ বাজারে বিক্রি করা হবে। বেচাকেনা ও পরিবহন ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় উদ্যোক্তা, ছাত্র-জনতাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

প্রতিটি পণ্য জেলা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে নির্ধারিত দরে বিক্রি করা হবে। ক্রয়মূল্যের সঙ্গে প্রকৃত পরিবহন খরচ এবং উদ্যোক্তাদের প্রদেয় যৌক্তিক মুনাফা যোগ করে বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ হবে।

তবে ইচ্ছা করলে যে কোনো চাষি, খামারি বা উৎপাদনকারী তার উৎপাদিত পণ্য সরাসরি এনেও বিক্রি করতে পারবেন। হিসাব সংরক্ষণ ও সার্বিক কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার জন্য সফটওয়্যার নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য অনলাইনে দেখা যাবে।

যে ছয় স্থানে বসবে বাজার 

ঢাকার কামরাঙ্গীরচর, মোহাম্মদপুর, গুলশান, মিরপুর, বাড্ডা ও ডেমরা– এই ছয় স্থানে বাজার বসবে। পর্যায়ক্রমে বাড়বে বাজারের সংখ্যা। রমজানে এসব বাজারের মাধ্যমে ভোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হুসাইন (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা), সিনিয়র সহকারী কমিশনার এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিল পারভেজ, লালবাগ জোনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেরানীগঞ্জ থানা আমিরুল ইসলাম, খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি ও স্থানীয়রা।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com