রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার একটি বাসা থেকে মাকসুদা আক্তার মুক্তা (৩৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে ওই নারীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্বজনরা। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। বিকেল ৫টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাসুর কাজী রফিকুজ্জামান জানান, পারিবারিক কলহের জেরে মাকসুদা আক্তার মুক্তা স্বামীর ওপর অভিমান করে নিজ রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে অনেক ডাকাডাকি করলেও তিনি দরজা খোলেন না।
এরপর তারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তারা ভেতরে গিয়ে সিলিংফ্যানের হুকের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী এবাদুজ্জামান শিমুলের একটি চশমার দোকান রয়েছে। পাশাপাশি তিনি রাইড শেয়ারিং করতেন বলে জানান কাজী রফিকুজ্জামান।
খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা খিলগাঁও সি-ব্লকের নয় তলাবিশিষ্ট ভবনের ছয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই নারীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তার মরদেহ ঢামেকের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত মাকসুদা আক্তার মুক্তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। বাবার নাম হারুন বেপারী। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। খিলগাঁওয়ে সপরিবারে থাকতেন তারা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ