বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: রাখাইনে প্রকৃত ঘটনা খতিয়ে দেখতে নিরাপত্তা পরিষদের তদন্ত দল পাঠানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত বিতর্কে অংশ নিয়ে এ দাবি জানায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা পরিষদের এই উন্মুক্ত বিতর্ক শুরু হয়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন তার দেয়া বক্তব্যে মিয়ানমারে জাতিসংঘের তত্বাবধানে সেফ জোন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
নিরাপত্তা পরিষদকে তিনি বলেন, ধর্ষণ-নিপীড়ন ও পুড়িয়ে দেওয়া কিংবা মানুষের জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে, যা ভয়াবহ নিপীড়নকেই সামনে নিয়ে আসে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেনা অভিযানের সমালোচনা করে প্রশ্ন তোলা হয়েছে- সেনা অভিযানের এ ধরন শান্তির পক্ষে সহায়ক কিনা।
এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপও দাবি করেছে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া ক্ষুদ্র এ দেশটি।
সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়। সেগুলো হল-: সহিংসতা বন্ধ ও মানবিক সহায়তা, মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে রাখাইন কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার ১৯৯২ সালের মিয়ানমার-বাংলাদেশ চুক্তি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য মর্যাদা, স্থিতিশীলতা ও সুরক্ষা ফিরিয়ে দেওয়া।
বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিলেও কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাব ছাড়াই শেষ হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত বিতর্ক।
তবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী দুই দেশ চীন ও রাশিয়া।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস