♦বর্তমানে বিআরইবি’র গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ
♦সিস্টেম লস কমে দাঁড়িয়েছে ১০দশমিক ৭৫ শতাংশে
♦গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরন করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না
♦বৈরি আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ সচল করার নির্দেশ রয়েছে
বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দেশের যে কোন এলাকায় ঝড়, বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যুৎ লাইন দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেরামত করে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি)। ইতোমধ্যেই কালবৈশাখী ঝড়, শিলা বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক লাইন, খুঁটি, ট্রান্সফরমার ও মিটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং আরও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ বৈদ্যুতিক লাইন ও মালামাল দ্রুত ঠিক করার পাশাপাশি বৈরি আবহাওয়া মোকাবেলা এবং আসন্ন পবিত্র রমজানে বিদ্যুৎ সুবিধা সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখতে সব ধরণের প্রস্তুতিও রেখেছে বিআরইবি।বর্তমানে বিআরইবি’র গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ।আর শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলার সংখ্যা ৫১টি। উদ্ধোধনের অপেক্ষায় আরও ১৩৫টি উপজেলা প্রস্তুত রয়েছে। বিআরইবি’র সিস্টেম লস কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশে।
বিআরইবি’র এমন সাফল্যে যে মানুষটি নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন তিনি হচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব:) । তার কাছে জানতে চাওয়া হয়-একনজরে দেখতে গেলে বিআরইবি’র সাফল্য কী?
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ) : দেখুন বিআরইবি’র সাফল্য অনেক। এই যেমন, ১৯৭৮-২০০৮ পর্যন্ত গত ত্রিশ বছরে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৭৪ লাখ, আর ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ বছরে ১ কোটি ৪৮ লাখ বেড়ে বর্তমানে মোট গ্রাহক র্সখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ।একইভাবে ১৯৭৮-২০০৮ পর্যন্ত ত্রিশ বছরে প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুৎ সুবিধাভোগির সংখ্যা ছিল ২৮ ভাগ, আর ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ বছরে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগির সংখ্যা ৫৫ ভাগ বেড়ে মোট বিদ্যুৎ সুবিধাভোগির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে শতকরা ৮৩ ভাগ। ১৯৭৮-২০০৮ পর্যন্ত বিদ্যুৎ গ্রহণের সক্ষমতা ছিল ২ হাজার মেগাওয়াট, আর ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ বছরে এই সক্ষমতা ৭৪৭৫ মেগাওয়াট বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিদ্যুৎ গ্রহণের মো্ট সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ৯৪৭৫ মেগাওয়াট।
সিস্টেম লস্ ১৯৭৮-২০০৮ পর্যন্ত ত্রিশ বছর ছিল ১৮ শতাংশ, আর ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ বছরে ৭ দশমিক ২৫ পারসেন্ট হ্রাস পেয়ে এসে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭৫ পারসেন্টে। একইভাবে ১৯৭৮-২০০৮ পর্যন্ত ত্রিশ বছরে বিতরণ লাইন ছিল ২ লাখ ১৭ হাজার কিলোমিটার, আর ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ বছরে বিতরণ লাইন ১ লাখ ৬৫ হাজার কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে মোট বিতরণ লাইন দাঁড়িয়েয়ছে ৩ লাখ ৮২ হাজার কিলোমিটারে।
প্রশ্ন: পিডিবি, ডিপিডিসি, ডেসকো, ওজিপিডো’র পাশাপাশি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবচেয়ে গুরু দায়িত্বটি পালন করছে বিআরইবি। এই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসাবে দেশের ৪৬০টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে আপনার পরিকল্পনা কী?
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ) : একথা অনস্বীর্কায যে, বিআরইবি সরকারের একমাত্র প্রতিষ্ঠান। যেটি সারাদেশে দ্রুততার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গিকার বাস্তবায়নে একনিষ্ঠতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতে অপরাপর প্রতিষ্ঠাণগুলোর চেয়ে বিআরইবি’র সাফল্য অনেকটাই ঈর্ষনীয়। চলতি মাসের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতভাগ বিদ্যুতায়িত আরও ১৫টি উপজেলা উদ্ধোধন করেছেন। এর মধ্যে দিয়ে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১টি। শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আরও ১৩৫টি উপজেলা প্রস্তুত রয়েছে। আর জুন ২০১৮ এর মধ্যে আরও ১৩৫টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত করার কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে।২০১৯ সালের জুনের মধ্যে বাকী ১৩৯টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত করা হবে।আর এর মধ্যে দিয়েই দেশের ৪৬০টি উপজেলাকেই শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ পাওয়াটা সকলের অধিকার। আমরা দেশের প্রতিটি গ্রাহকের এই অধিকারটিই প্রতিষ্ঠিত করার কাজ করে যাচ্ছি। এখানে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারির গাফিলতি কিম্বা গ্রাহকের সাথে খারাপ আচরণ আমরা কোনভাবেই মেনে নিবনা।
প্রশ্ন: গ্রাকদের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত কোন কর্মকর্তা-কর্মচারির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন কী?
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ) : দেখুন বিআরইবিকে আমরা একটি সুশৃঙ্খল ও গতিশীল প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে অংগিকারবদ্ধ।এখানে গ্রাহক যেন সঠিক সেবা পায় আমরা সেভাবেই কাজ করছি। এ জন্য গ্রাহকদের যে কোন অভিযোগ লিপিবদ্ধ ও তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিস্পত্তি করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সব অফিসেই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, যে কোন অনিয়ম, দূর্নীতির পাশাপাশি গ্রাহকদের সাথে দূব্যবহারের কোন প্রমাণ পাওয়া গেলেই আরইবি সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যেই গ্রাহকদের অভিযোগ লিপিবদ্ধ না করা এবং তাদের সাথে র্দূব্যবহারের কারণে অনেকের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।বেশ কিছু অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে।
প্রশ্ন: বিআরইবি’র বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা কত এবং সিস্টেম লস আপনারা কত কমিয়েছেন?
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ) : বিআরইবি’র বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ। এরফলে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগির সংথ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩ শতাংশ। আর বিদ্যুৎ গ্রহণের সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৭৫ মেগাওয়াট।বর্তমানে বিআরইবি’র সিস্টেম লস কমে দাঁড়িয়েছে ১০দশমিক ৭৫ শতাংশে। বিতরণ লাইন টানা হয়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার কিলোমিটার। বিআরইবি শুধুমাত্র সিস্টেম লস কমানোর মধ্যে দিয়ে প্রায় ১১শ’ কোটি টাকার লোকসান কমিয়ে এনেছে। সাধারণত ১ শতাংশ সিস্টেম লসের কারণে বিআরইবিকে ১৫০ কোটি টাকা লোকসান দিতে হয়।
প্রশ্ন: প্রি-পেইড গ্রাহক বাড়াতে আপনারা কী ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছেন?
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ) : বিআরইবি’র প্রি-পেইড গ্রাহকের সংখ্যা পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়েছে। বর্তমানে প্রিপ্রেইড গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার। যদিও আমাদের মোট গ্রাহকের তুলনায় এই সংখ্যা খুব একটা বেশি না। এজন্য আমরা আরও প্রিপেইড মিটার সংগ্রহের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে ১০ লাখ গ্রাহকের জন্য এবং সরকারি অর্থায়নে ৩১ লাখ গ্রাহকের জন্য প্রিপেইড মিটার ক্রয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
প্রশ্ন: বিআরইবি’র বর্তমান সক্ষমতা কত মেগাওয়াট? আর যে পরিমান বিদ্যুৎ আপনারা পাচ্ছেন তা দিয়ে গ্রামাঞ্চলের চাহিদা মেটানো সম্ভব কীনা? এছাড়াও রাজধানীর তুলনায় গ্রাম পর্যায়ে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেশি-এ নিয়ে যেসব অভিযোগ আসছে তা কতটুকু সঠিক?
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ) : দেখুন, বর্তমানে বিআরইবি’র বিদ্যুৎ নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে ৯ হাজার ৪৭৫ মেগাওয়াট। আর বিআরইবি’র বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সাড়ে ৫ হাজার মেগাওয়াট। এই পরিমান বিদ্যুৎ দিয়ে চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা হয়না। তবে এখন ঝড়-বৃষ্টির মাস। বৈরি আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই কমবেশি ঝড় হচ্ছে।এসব কারণে বিভিন্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনেক খুঁটি ভেঙ্গে গেছে, ক্রস আরম ভেঙ্গে গেছে, কন্ডাক্টার ছিড়ে গেছে, ট্রন্সফরমার নষ্ট হয়ে গেছে, মিটার নস্ট হয়ে গেছে।
আবার অনেক এলাকায় ঝড়ে বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছ পড়ে তার ছিড়ে গেছে। এসব সমস্যার কারণে অনেক এলাকাতেই বিদ্যুৎ নিয়ে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে-সমস্যা যত বড়ই হোক, তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করতে বলেছি।আবাসিক থেকে শুরু করে কৃষি ও শিল্পায়নে গ্রাহকরা এখন পল্লী বিদ্যুতের সুবিধা ভালভাবেই পাচ্ছেন।গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানীর সাথে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ সুবিধার পার্থক্যটা অনেক কমে এসেছে।এটা আমরা আরও কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছি প্রতিটি সমিতিকে।
প্রশ্ন: আসন্ন রমজান ও বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলাকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ নিয়ে যাতে সমস্যা না হয়, এ ব্যপারে আপনারা কী ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ) : দেখুন, পবিত্র রমজানে বিদ্যুৎ নিয়ে জনগণের যাতে কষ্ট না হয়, এজন্য লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এবছর রমজান পরবর্তি সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ ফুটবল। তাই গ্রীস্মকাল, রমজান ও বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখেই আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি।রমজানে ইফতার, তারাবি ও সেহেরির সময় বিদ্যুৎ যাতে সব জায়গায় থাকে সে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।আশা করছি, বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যা হবে না। কারণ, সেচ মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় এখাতে যে বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহার হতো, এই বাড়তি বিদ্যুৎ আমরা রমজানে সরবরাহ করতে পারবো।
প্রশ্ন: জনবল ঘাটতি নিরসনে কোন আলোচনা হয়েছে কীনা?
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ) : জনবল ঘাটতি নিরসনে সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে সব ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বিআরইবি’র কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধিসহ আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। যাতে এখানে কর্মরতরা আরও একাগ্রতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে গ্রাহকদের সেবক হয়ে কাজ করতে পারেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির জনবল ঘাটতি কমাতে ৪৭৪টি পদেও সেটাপ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ। তবে বাস্তবতা হচ্ছে-এরপরও বিআরইবি’র লোকসান রয়েছে। আমরা এই লোকসান কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন: বিআরইবি’র গত অর্থ বছরের সফলতা কী এবং চলতি অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা কী?
চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ) : বিআরইবি’র ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে অর্জনের মধ্যে ৩৬ লাখ গ্রাহককে নতুন সংযোগ প্রদান করা হয়েছে, ৩৬ হাজার ৫শ’ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ করা হয়েছে, ৯২০ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৬টি উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, সিস্টেম লস ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে, বকেয়া মাসের পরিমান কমিয়ে ১.১৩-তে আনা হয়েছে, ই-জিপি’র মাধ্যমে ২০৩০টি ক্রয় কাজ সম্পাদন করা হয়েছে, ৫টি সোলার চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে এবং ১৬টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আইএসও সনদ অর্জন করেছে।
একইভাবে বিআরইবি’র ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে-৪০ লাখ নতুন সংযোগ প্রদান করা, ৫০ হাজার কিলোমিটার নতুন লাইন নির্মাণ করা, ১০০০ এমভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন ৮০টি উপকেন্দ্র নির্মাণ, সিস্টেম লস ১০ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা, বকেয়া মাসের পরিমান ১.১০ নিয়ে আসা, ই-জিপি’র মাধ্যমে ক্রয় কাজ শতভাগ সম্পন্ন করা, আরও ৫টি সোলার চাজিং স্টেশন স্থাপন করা করা এবং আর ২৫টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আইএসও সনদ অর্জন করা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি