বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: রমজানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা বহাল রাখার সব ধরণের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি)। সেইসাথে গ্রাহকদের যে কোন অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে তা দ্রুত নিস্পত্তি করতেও বলা হয়েছে।
এদিকে, এবছর ঝড়-বৃষ্টির প্রকোপ বেশি হওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুৃঁটি ও লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিআরইবি’র জানায়, পোল বা খুঁটি ভাঙ্গার অন্যতম কারণ হচ্ছে-কম গভীরে পোতা, পোলের উপর গাছ পড়ে যাওয়া এবং পোল দূর্বল হয়ে যাওয়া।
জানা গেছে, বিআরইবি বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ড (পিডিবি) এর কাছ থেকে যেসব লাইন অধিগ্রহণ করেছে; ওই সব লাইনই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অধিক পুরাতন, পোল দূর্বল এবং কম গভীরতায় পোতার কারণে এসব লাইন ঝড় সামাল দিতে পারছে না। আবার অধিক বৃষ্টির কারণে মাটি সরে যেয়েও পোল পড়ে লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে বিআরইবি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব:) বাংলা৭১নিউজ-কে বলেছেন, পোল যারই হোক না কেন, তা এখন বিআরইবি ব্যবহার করছে। কাজেই পুরাতন পোল এবং লাইন আমরা পরিবর্তন করছি। বিআরইবি নিয়মিত লাইন তদারকি করছে। কোথায় বৃষ্টিতে লাইন নরম হয়ে গেছে, পোল হেলে গেছে কিম্বা ঢালুতে থাকার কারণে লাইন ঝুঁকিতে রয়েছে কীনা; এসব নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কোন ধরণের ক্রুটি পেলেই তা বদলানো হচ্ছে। এছাড়াও আমরা বিদ্যুতের লাইন সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতনা বাড়াতে মাঝে মধ্যেই মাইকিং করি। লাইনের দুই পাশের ডালপালা ছেটে রাখার নির্দেশনা দেই। যাতে করে ডালপালার ঝাপটায় লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হতে না পারে।
বিআরইবি’র চেয়ারম্যান বলেন, গ্রাহকদের অভিযোগ যাতে দ্রুত নিস্পত্তি করা যায় এজন্য ফিডার ভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া আছে। প্রয়োজনীয় মালামাল এখন জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসেই রাখা হচ্ছে। অভিযোগ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সার্বক্ষণিকভাবে এখানে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। আর গৃহিত অভিযোগ দ্রুততার সাথে নিস্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকের অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না কিম্বা গ্রাহকের সাথে কোন ধরণের খারাপ আচরণ করা হচ্ছে; আমরা এধরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার সাথে সাথেই ওই কর্মকর্তা-কর্মচারির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
রমজানে বিদ্যুৎ নিয়ে কোন ধরণের ভোগান্তি হবে কীনা? জানতে চাইলে মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব:) বলেন, রমজানে আমরা চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। গ্রীস্মে চাহিদা সাড়ে ৫ হাজার মেগাওয়াট থাকলেও রমজানে তা কিছুটা বৃদ্ধি পায়।এজন্য আমরা রমজানে ৬ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদা দিয়েছি। তিনি বলেন, রমজান শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত আমরা বিদ্যুৎ নিয়ে কোন রকম সমস্যার অভিযোগ পাইনি।
তিনি আরও বলেন, রমজানে বড় ধরণের কোন দূর্ঘটনা না ঘটলে ইনশাআল্লাহ্ বিআরইবি গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে। এটা ঠিক যে, দেশের কোথাও আগের মত বিদ্যুৎ বিভ্রাট নেই। বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে, উৎপাদনও বেড়েছে। নতুন নতুন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরে আরও ৪ হ্জাার মেগাওয়াট মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হবে।
পিজিসিবি’র ব্যপারে বিআরইবি চেয়ারম্যান বলেন, তারা নিয়মিতই সাব স্টেশন আপগ্রেড করছে। আমাদের চাহিদা মতই তারা এটা করছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ধারাবাহিক উন্নতি দৃশ্যমান। বিদ্যুতের উৎপাদন আশাতীত বৃদ্ধির পরও একশ্রেণীর গ্রাহকের সহিষ্ণুতা কমে গেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি