তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্যের বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ না করে প্রমাণ করেছেন যে নাগরিক সেবায় তারা ব্যর্থ। নিত্যপণ্যের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে যৌক্তিক কারণ না থাকার পরেও দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী। যে কারণে সাধারণ মানুষের দুঃখ আরো বেড়ে গেছে। তাদের আয়ের পুরোটাই চলে যাচ্ছে চাল, ডাল, শাক-সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য কিনতে। তা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে, সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা বাগাড়ম্বর করে চলেছেন। বাজারে সরকারের কোনো নজরদারিই নেই। তাদের নজর লুটপাটে।
রিজভী বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, পশুর হাটে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে প্রতি কেজি মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। এই চাঁদাবাজির অর্থ যাচ্ছে সরকারের ওপরের মহলে। পবিত্র রমজান মাস এলেই দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করে ফেলে আওয়ামী সিন্ডিকেট। এতে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। লুটপাটতন্ত্র সর্বত্র জেঁকে বসেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় সরকারের পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে চরমভাবে ব্যর্থ এই মিডনাইট নির্বাচনের অন্ধকারের সরকারকে বলবো- দ্রুত পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। দেশের জনগণের ঘাড়ে জোর করে চেপে থেকে আর কষ্ট দিবেন না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকেও মুক্তি দিন।
এ ছাড়াও রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন রোয়েদাদ (মজুরি কাঠামো) এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। রমজান মাস শুরু হলেও পাটকলগুলোতে শ্রমিকদের ১০ থেকে ১৫ সপ্তাহের মজুরি বাকি। এ মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সামর্থ তাদের নেই। স্টাফদের তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থের প্রতি সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই। বরং তাদের ওপর শোষণের মাত্রা আরও তীব্র হয়েছে। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে পাটকল শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলা৭১নিউজ/এলএ.এফএ