শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
খেলাফত মজলিসের নতুন আমির মামুনুল হক পাঠ্যবইয়ে জ্যোতির গল্প, জানতেন না নিজেই টিউলিপের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকারকে হুঁশিয়ারি নাসীরুদ্দীনের এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জু ও সম্পাদক ফুয়াদ মশা নিধনে কীটনাশক নির্ধারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নতুন কমিটি আফগান সীমান্তে ‘৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র’ হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, দাবি রিপোর্টে সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫ মামলায় গ্রেফতার ১০০ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ দুই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতার মুক্তির দাবিতে গাজীপুরে সমাবেশ, মহাসড়কে তীব্র যানজট একদিন বিশ্বের মানুষ ভারতের ভিসার জন্য লাইনে দাঁড়াবে: মোদি নির্বাচন হলে সব সংকট কেটে যাবে: মির্জা ফখরুল মামলার তদন্তে পুলিশ নয়, আলাদা সংস্থার প্রস্তাব কমিশনের দ্রুত নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে সরকার কাজ করছে তামিমের অবসর : যা বলছেন মুশফিক-রিয়াদ-শান্তরা মেঘনায় দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৩ এ কে আজাদ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান

রমজানের বাজারে হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ৮ মে, ২০১৯
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ব্যাগ হাতে রমজানের বাজারে গিয়ে হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। যেখানেই হাত দেয়া হোক, বাজার চড়া। সবজি থেকে ফল-মাংস, সমস্ত কিছুরই। রোজায় গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২৫ টাকা। কিন্তু কোনো বাজারেই এ দামে মাংস বিক্রি হচ্ছে না। রাজধানীর খিলগাঁও বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৬০ টাকা কেজি দরে। পাশের দোকান বিক্রি করছে ৫৫০ টাকা। খাসির মাংস ৭৫০ টাকা কেজি নির্ধারণ থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। এভাবে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাংস।

বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বারবার শোনা গেলেও বাস্তবে তার কোনো প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি। বুধবার রাজধানীর মুগদাসহ মতিঝিল, খিলগাঁও ঘুরে দেখা গেছে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ ছোলা, খেসারি, মসুর ডাল, বুট, পেঁয়াজ। মাংসের দাম চড়া হলেও কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। তবে বেড়েছে শশা ও লেবুর দাম। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য।

চাহিদার তুলনায় বাজারে পণ্য সরবারহ পর্যাপ্ত থাকার পরও মুনাফাখোরদের জেরে দর বাড়ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। ক্রেতাদের অভিযোগ সরবরাহ বেশি থাকার পরও বেশি দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে, বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ীরা যাই বলুক নিত্যপণ্যের নিয়ন্ত্রণহীন এ দামে স্বস্তি নেই ক্রেতাদের।

মুগদা এলাকায়  এক ক্রেতা জানান, বাজারে দামের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি করছে ১৫০ টাকা। রাস্তার ওপারে একই মুরগি কেজি ১৩০ টাকা। তাদের ধরার কেউ আছে?

ব্রয়লার মুরগির বিক্রেতা হাসান জানান, একদিনে ব্রয়লারের দাম কমেছে ৩০ টাকা। গতকালও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা দরে। আজকে পাইকারি বাজারে দাম কমেছে, তাই ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। পাশেই ১৫০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছে। ওই বিক্রেতার দাবি খরচ বেশি তাই দাম বেশি নিচ্ছেন।

মুগদা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ছোলা, খেসারি, মসুর ডাল, বুট, পেঁয়াজ। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, খেসারি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মসুর ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, বুট ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৬ থেকে ৩০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজ ১৮ থেকে ২৪ টাকায়।

বাজারগুলোতে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি পেঁপে ৬০ টাকা, শশা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লেবু হালি মান ভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা।

প্রতি কেজি বেগুন, কচুরলতি, করলা, পটল, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। ধুনদল, ঝিঙা, কাঁকরোল, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

প্রতি আঁটি লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ১০ থেকে ২০ টাকা, পুঁই শাক ও ডাটা শাক ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রোজায় বেড়েছে সব ধরনের মাছের দামও। হাউজে রাখা জীবন্ত রুই কাতলা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০, আইড় ৪০০-৬০০ টাকা, মেনি মাছ ৪৫০-৫০০, বেলে মাছ প্রকার ভেদে ৪০০-৬০০ টাকা, বাইন মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫০০-৮০০ টাকা, পুঁটি ২০০-২৫০ টাকা, পোয়া ৪০০-৬০০ টাকা, মলা ৪০০-৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৬০০ টাকা, শিং ৪০০-৭০০, দেশি মাগুর ৫০০-৭০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১৫০-১৮০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়।

খিলগাঁওয়ের মাছ বিক্রেতা জানান, ঘূর্ণিঝড় ও গরমে মাছ সরবরাহ কিছুটা কম। তাই আড়তে মাছের দাম বেশি। বেশি দামে কেনা তাই বিক্রিও করছি বেশি দামে। গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের মাছই কেজিতে ২০/৫০ টাকা বেড়েছে।

এদিকে হালিতে ৫ টাকা কমে ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকায়। এ ছাড়া দেশি মুরগির ডিম ৫৬ থেকে ৬০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪৬ থেকে ৫০ টাকায়।

বাংলা৭১নিউজ/এলএ.এফএ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com