শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চট্টগ্রামের উন্নয়নে ৩ খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন ডা. শাহাদাত তিনদিনের মধ্যে এনআইডির ক্যাটাগরি করতে ইসির নির্দেশ বান্দরবানে কেএনএ’র বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান বেনাপোলে চালু হলো কার্গো টার্মিনাল, কমবে ভোগান্তি বাড়বে বাণিজ্য জাবি থেকে সরানো হলো শেখ মুজিবের ছবি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে সংস্কার চান তারেক রহমান শহীদ আবদুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা সাখাওয়াত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচিতি সভায় পদবঞ্চিতদের হামলা ৩০ নভেম্বরের পর আর হজের নিবন্ধন করা যাবে না প্রকৃতির পরিচর্যা করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে : হাসান আরিফ ড. ইউনূসকে বই উপহার দিলেন ব্রাজিলের উপরাষ্ট্রপতির স্ত্রী ঢাবি ছাত্রদলের ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ হিউম্যান রাইটসের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আহতদের পুনর্বাসন করা হবে: সালাউদ্দিন ঢামেকে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে শ্রম সংস্কারের প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসের জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সোলাইমান বললেন, শেখ হাসিনা আবার আসবেন ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যাচার করছে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর, ফি বেড়েছে ১০০ টাকা কলকাতাগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, ১৮৭ যাত্রী নিয়ে জরুরি অবতরণ

রমজাননির্ভর ৪ পণ্যের দাম আগের মতোই বাড়তি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৪ মে, ২০১৯
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহের পরও রমজাননির্ভর চার পণ্য- ছোলা, চিনি, মসুরের ডাল ও পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো শুক্রবারও বাড়তি দামেই বিক্রি হয়েছে।

সব ধরনের মাছ, গরুর মাংস ও সবজি বিক্রি হয়েছে উচ্চমূল্যে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কমতে শুরু করেছে মুরগির দাম। আর চাল, ভোজ্যতেলসহ একাধিক পণ্যের দাম স্থিতিশীল। রাজধানীর কারওয়ানবাজার, নয়াবাজার ও রামপুরা কাঁচাবাজারসহ একাধিক বাজার ঘুরে শুক্রবার এ তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজধানীর নয়াবাজারের তুহিন স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. তুহিন বলেন, নতুন করে রমজাননির্ভর চার পণ্যের দাম বাড়েনি।

বরং গত সপ্তাহের বাড়তি দামেই সপ্তাহের প্রথম দিন বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, শুক্রবার খুচরাতে চিনি মান ভেদে বিক্রি হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি।

এ দিন ছোলা বিক্রি হয় মানভেদে ৮০-৮৫ টাকা কেজি। মসুরের ডাল ৯৫-১০০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহেও এ দামেই বিক্রি হয়েছে।

তাছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৮-৩৫ টাকা কেজি। যা এক সপ্তাহ আগে একই দামেই বিক্রি হয়। আর গত সপ্তাহের মতো আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৫-২৮ টাকা কেজি।

এদিকে রমজানে বেশি চাহিদার পণ্য- বেগুন, শসা, পুদিনাপাতা, ধনেপাতার দামও গত সপ্তাহের মতোই বাড়তি। কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মো. আকবর আলী  বলেন, রমজান এলেই এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে। কারণ এগুলো দিয়ে ইফতার আইটেম তৈরি করা হয়। যার কারণে বাজারে এই সময়টাতে চাহিদাও বেড়ে যায়। আর এই চাহিদাকে মাথায় রেখে পাইকাররা গত সপ্তাহে বেগুন, শসা, পুদিনাপাতা, ধনেপাতার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যা এ সপ্তাহেও একই বিদ্যমান। তিনি বলেন, শুক্রবার বেগুন বিক্রি করছি মান ও আকার ভেদে ৬০-৭০ টাকা কেজি। শসা বিক্রি করছি ৫৫-৬০ টাকা কেজি। যা গত দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি করেছি ৪০-৫৫ টাকা। পুদিনাপাতার আঁটি বিক্রি করছি ২০ টাকা। ধনেপাতাও এরকম দামেই বিক্রি করেছি।

এছাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার পটল বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০-৭০ টাকা কেজি, কচুর লতির কেজি ৭০-৮০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ধুন্দুল ৭০-৮০ টাকা কেজি, গাজর ৩০-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এ দিন গত সপ্তাহের মতো চড়া দামে বিক্রি হয়েছে সব ধরনের মাছ। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৬০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৬০-১৮০ টাকা কেজি, রুই আকারভেদে ৩৫০-৬০০ টাকা কেজি, পাবদা ৬০০-৭০০ টাকা কেজি, টেংরা ৭০০-৭৫০ টাকা, শিং ৪০০-৫৫০ টাকা কেজি, বোয়াল ৫০০-৮০০ টাকা ও চিতল মাছ ৫০০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে। কারওয়ানবাজারে চিকেন মার্কেটের মুরগি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৫৫ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৬৫ টাকা। গত সপ্তাহে ২১০-২২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৯০ টাকা। আর পাকিস্তানি কক বিক্রি হয়েছে ২৪০-২৫০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে ২৭০-২৮০ টাকা ছিল। তবে গরুর মাংস ও খাসির মাংস গত সপ্তাহের মতো বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। গরুর মাংস শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৫৩০-৫৬০ টাকা কেজি। খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০-৮৫০ টাকা কেজি।

রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. আমিনুল ইসলাম  বলেন, পণ্যের দাম নিয়ে কারও সঙ্গে আর কথা বলতে ইচ্ছা হয় না। বলেই বা কি লাভ? যে যার মতো করে রমজান ঘিরে সিন্ডিকেট করেছে। এই সিন্ডিকেট রমজান মাস আসার এক মাস আগেই সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। দেখার কি কেউ নেই।

বাংলা৭১নিউজ/আরএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com