বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কিশোর বয়সের প্রেম এবার পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ছবির নাম ‘নলিনী’। পরিচালনা করবে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করবেন প্রিয়াঙ্কা। প্রযোজনা করবে তাঁর প্রতিষ্ঠান। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ছবিটি তৈরি হবে বাংলা আর মারাঠি ভাষায়। এবার এই ছবির চিত্রনাট্যের ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতীর অস্থায়ী উপাচার্য স্বপন কুমার দত্ত জানিয়েছেন, যে চিত্রনাট্যকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেটা মেনেই যেন ছবিটি তৈরি করা হয়। আর বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি দেওয়ার আগে অবশ্যই ছবিটি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে। এদিকে এরই মধ্যে ‘নলিনী’ ছবির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি হলো—ছবির চিত্রনাট্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি দীর্ঘ চুম্বনদৃশ্য আছে। এর ফলে কবিগুরুর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
পরিচালক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কপিরাইট উঠে যাওয়ার পর বিশ্বভারতীকে দিয়ে চিত্রনাট্য অনুমোদন করানোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু ছবিটি সম্পর্কে নানা বিভ্রান্তিকর খবর বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে উদ্বিগ্ন হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন তাঁরা।’
উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘কাজ করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি, রবি-জীবনের এই অন্নপূর্ণা পর্ব নিয়ে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষও খুব একটা অবহিত ছিল না। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে যাতে কোনো বিতর্ক তৈরি না হয়, এ কারণে আমরা চিত্রনাট্যটি খতিয়ে দেখতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেই।’
এদিকে শঙ্খ ঘোষ, সুপ্রিয় ঠাকুরসহ আটজন রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই কমিটি ‘নলিনী’ ছবির চিত্রনাট্য পরীক্ষা করে। গত শনিবার ছবির পরিচালক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে ই-বার্তার মাধ্যমে অস্থায়ী উপাচার্য স্বপন কুমার দত্ত জানান, কিছু তথ্যগত অসংগতি ছাড়া তাঁদের কমিটি ‘নলিনী’র চিত্রনাট্যকে অনুমোদন দিয়েছে। আর ফিরতি ই-বার্তায় পরিচালক জানিয়েছেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের উল্লেখ করা তথ্যগত ভুলগুলো তিনি শুধরে নেবেন। ছবিটি মুক্তির আগে বিশ্বভারতীর জন্য একটি বিশেষ প্রদর্শনীরও ব্যবস্থা করা হবে।
‘নলিনী’ ছবির কাহিনি গড়ে উঠেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ইংরেজি শেখা নিয়ে। ১৭ বছরের রবীন্দ্রনাথকে ইংল্যান্ড পাঠানো হচ্ছে। এর প্রস্তুতি হিসেবে মরাঠার তরুণী অন্নপূর্ণা তর্কড়ের কাছে তাঁকে পাঠানো হয় ইংরেজি শিখতে। বেশি দিন সেই টিউশন চলেনি। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই অন্নপূর্ণার প্রেমে পড়ে যান রবীন্দ্রনাথ। পরে সেই অন্নপূর্ণাই ‘নলিনী’ নামে আসেন রবীন্দ্রনাথের কবিতায়।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস