শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
খালেদা জিয়ার বাসভবনে বালুর ট্রাক, মামলা হলো হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্গাপূজার ছুটিতে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ৭ বিশেষ ট্রেন শেরপুরে বন্যায় ২ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ তিন চুক্তি করেও চাল না দেওয়া মিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ ৫ বিভাগে অতিভারী বৃষ্টির আভাস, চট্টগ্রামে ভূমিধসের শঙ্কা মেয়েকে হত্যার পর মরদেহ নিয়ে বসেছিলেন মা ৪ হাজার টাকার সুদ দেড় লাখ! জমি লিখে নেন এনজিও মালিক বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ ভারতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৩৬ মাওবাদী নিহত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজ সংলাপে বসছে বিএনপি সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই জটিলতায় স্বপ্নভঙ্গ ১৮ হাজার শ্রমিককে সুখবর দিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২ হাজার ছাড়িয়েছে দুদক সংস্কার কমিশনের সদস্য হলেন যারা শেরপুরে তিন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবিতে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা ১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য চেয়েছে পর্যালোচনা কমিটি ওয়াশিংটন-নিউইয়র্ক সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীরের মিডিয়া সমন্বয়কারী গ্রেফতার সেপ্টেম্বরে গণপিটুনিতে ২৮ জনের মৃত্যু

রপ্তানিতে প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় বিটিএমএ

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

সব ধরনের রপ্তানিতে দ্বিতীয়বারের নগদ সহায়তা কমিয়ে গত ৩০ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের অজুহাতে এই প্রণোদনা কমানো হলো। এতে তৈরি পোশাক, চামড়া, পাট, কৃষিসহ ৪৩ খাতে নগদ সহায়তা কমবে রপ্তানিকারকদের। প্রণোদনা কমানোর এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।

বাণিজ্য এ সংগঠন জানায়, অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এফই সার্কুলার নং ১২ প্রত্যাহার করে নগদ প্রণোদনা আগের অবস্থায় আনতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে টেক্সটাইল শিল্পর জন্য একটি যুগোপযোগী টেক্সটাইল পলিসি প্রণয়ন এবং ব্যাংক লোন পরিশোধের জন্য এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড রাখার দাবি জানিয়েছে বিটিএমএ।

শনিবার (৬ জুলাই) বিটিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। এসময় বিটিএমএ’র সহ-সভাপতি মো. ফজলুল হক, মোহাম্মদ ফায়জুর রহমান ভুঁইয়াসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, যে কোনো শিল্প শক্তিশালী বা টেকসই করার জন্য নীতি সহায়তা বা প্রণোদনা প্রয়োজন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও যা দিয়ে আসছে। যে কোনো দেশের জন্য টেকসই শিল্প প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন শক্তিশালী নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা।

আমাদের দেশে কোনো ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে নগদ প্রণোদনা যেভাবে কমানো হয়েছে, তাতে টেক্সটাইল সেক্টরে সক্ষমতা কমবে। এর প্রভাবে ক্রমান্বয়ে এই সেক্টরের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।

এছাড়া এ খাতে প্রতিযোগী অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমরা কোনোভাবেই টিকতে পারবো না। কোনো কারণে প্রাইমারি টেক্সটাইল বন্ধ হল পরবর্তীতে তৈরি পোশাক শিল্পও ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে। এতে দেশের অর্থনীতিতে ধস নামার আশংকা তৈরি হবে।

এরই মধ্যে টেক্সটাইল খাতের বেশ কিছু কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিটিএমএ সভাপতি বলেন, আরও অনেক কারখানা যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় অনতিবিলম্বে ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এফই সার্কুলার নং ১২ প্রত্যাহার করে নগদ প্রণোদনা আগের অবস্থায় আনা, দ্রুত সময়ের মধ্যে টেক্সটাইল শিল্পর জন্য একটি যুগোপযোগী টেক্সটাইল পলিসি প্রণয়ন এবং ব্যাংক লোন পরিশোধের জন্য এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড রাখার দাবি জানাচ্ছি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলা উৎপাদনকারী দেশ এবং টেক্সটাইল টেকনোলজিতেও বিশ্বে দ্বিতীয়। ভারত বর্তমানে বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এবং ২০০৪ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েটেড হওয়া সত্ত্বেও টেক্সটাইল শিল্পকে নানানভাবে নগদ প্রণোদনার বিকল্প সুবিধা দিয়ে আসছে।

সুতরাং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের নামে বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা ব্যাপকভাবে কমিয়ে এ শিল্পে যেভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, তাতে এ শিল্প আচিরেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে।

টেক্সটাইল খাতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি জনগোষ্ঠী এ খাতের ওপর নির্ভরশীল। যারা প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য শীর্ষ নীতিনির্ধারকদের টেক্সটাইল শিল্প সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে এবং নানামুখী চাপ প্রয়োগ করে এ শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন, তারা আসলে এই দেশকে বিদেশি বাজারে পরিণত করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পাশ হয়েছে। এ বাজেটে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাতের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো পলিসি সাপোর্ট এবং এই খাত সুরক্ষায় কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল খাতের জন্য রপ্তানির বিপরীতে ২৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছিলেন। এটি দেশের টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল খাতের অগ্রযাত্রায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর ফলে এ খাতে রপ্তানি আয় ২ বিলিয়ন থেকে ৪৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com