সংবাদ শিরোনাম
বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ভূয়া আবেদনের দিয়ে একটি মহল উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান ওরফে টিপু মুন্সীকে হয়রাণি করছে। এই মহলটি তাকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বানাতে এবং তার সনদ যাতে বাতিল করা হয়-এ জন্যও নানা ধরণের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অভ্যন্তরেই ঘাপটি মেরে থাকা একটি চক্র এ ধরণের কর্মকান্ডোর সাথে জড়িত রয়েছে। তার মুক্তিযুদ্ধের সনদ বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান ওরফে টিপু মুন্সী। তিনি বলেন, আমি রনাঙ্গণে যুদ্ধ করেছি। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা নই।
জানা যায়, টিপু মুন্সীর বিরুদ্ধে যে ভূয়া আেবদন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কাছে দেয়া হয়েছে; এই আবেদনটিকে খোদ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এর সদস্যরাই ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামুকার এক সদস্য বলেন, টিপু মুন্সীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের সুযোগ নেই। কারণ তার সনদটি যে জাল এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
জামুকার অপর এক কর্মকর্তা বলেন, হাফিজুর রহমানকে যে সনদ দেয়া হয়েছে (সদস্য নং ম-১৫৮২৮৪) তা যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, এটি সঠিক। কাজেই জামুকার বৈঠকে তার সনদ বাতিলের কোন প্রশ্নই আসেনা। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ গ্রহণ করেছে তাদের সর্বনি¤œ বয়স ধরা হয়েছিল ১৩ বছর।
এই হিসাবে ১৯৫৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া হাফিজুর রহমান মুন্সীর মুক্তিযুদ্ধকালীন বয়স ছিল ১৪ বছর তিন মাস। এক্ষেত্রে তার বয়স প্রমাণ করে তিনি এই বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতেই পারেন।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে টিপু মুন্সী বলেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং একাত্তরে রনাঙ্গণে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। তিনি আরও জানান, স্বাধীনতার পর বুয়েটে ভর্তি হওয়ার সময়ও মুক্তিযোদ্ধ হিসাবে তার ডিক্লারেশন দেয়া ছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের যখন ১৩ টাকা ৬৭ পয়সা ভাতা দিয়েছেন তখন এই ভাতা আমিও গ্রহণ করেছি। আমার স্কুল রেজিষ্টার্ডে তা লিপিবদ্ধ আছে।
এ ব্যপারে থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধ মো. নুরুল ইসলাম বলেন, টিপু মুন্সী একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমরা একসাথেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছি।
উল্লেখ্য, টিপু মুন্সী ‘দেশ রক্ষা বিভাগ স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদ’ এবং ১১নং সেক্টরে কাদেরিয়া বাহিনীর ১নং হাতেম আলী কোম্পানি কমান্ডার লোকমান হোসেনের নামে ২০০৭ সালের ২৫ মে স্বাক্ষরিত ‘১১নং সেক্টর, কাদেরিয়া বাহিনী, ১নং হাতেম কোম্পানি, রণাঙ্গন ৭১’ নামে সনদ জমা দিয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এস
