বাংলা৭১নিউজ, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরের মুণ্ডুমালা পৌর এলাকায় জলবায়ু প্রকল্পের কাজে ঠিকাদারের অবহেলায় একটি মাটির দ্বিতল বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে, তবে অলৌকিকভাবে শিশু-নারীসহ পরিবারের ৯ সদস্য প্রাণে বেঁচে গেলেও সব হারিয়ে পরিবারটি এখন নিঃস্ব হয়ে জলে পড়েছে। চলতি বছরের মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার উত্তরপাড়া গ্রামে বাড়ী ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষতি পূরুণের পাশপাশি ঠিকাদারের দায়িত্ব অবহেলার কারণে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে।
জানা গেছে, মুন্ডুমালা পৌরসভায় জলবায়ু প্রকল্পের প্রায় ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পয়নিঃস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বিএনপি নেতা ও (সাবেক) এমপি হারুন অর-রশিদের মালিকানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রশিদ এন্টারপ্রাইজ এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে। প্রায় তিনদিন পূর্বে মুণ্ডুমালা উত্তর পাড়া গ্রামে ড্রেন নির্মাণের জন্য তসলিম উদ্দিনের দ্বিতল মাটির বাড়ীর দেয়াল ঘেঁষে কোনো নিরাপত্তা বেস্টনি না দিয়ে গভীরভাবে খনন করা হয়। এদিকে তিনদিন ধরে পড়ে থাকায় খননকৃত গর্তে পানি জমে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাড়িটি বিকট শব্দে ভেঙ্গে পড়ে। এ সময় বাড়ি ভঙ্গার বিকট শব্দে পুরো গ্রাম জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির মালিক তসলিম উদ্দীন জানান, তাদের বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা ও কোনো নিরাপত্তা বেস্টনি না দিয়ে নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে ঠিকাদারের লোকজন তার বাড়ির দেয়াল ঘেঁষে গর্ত করে ফেলে রাখায় তার বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। তবে ভাগ্যর জোরে অলৌকিকভাবে তার পরিবারের ৯ সদস্য প্রাণে বেঁচে গেছেন। এঘটনার পর থেকে তারা পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এবং বাড়ি ভাঙ্গায় তার প্রায় ৬ লাখ টাকার আর্তিক ক্ষতি হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জলবায়ু প্রকল্পের ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ পায় বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি হারুন অর রশিদ। তবে কাজটি দেখভাল করছেন তার অনুগত ঠিকাদার রনি। এব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার রনি বলেন, বাড়ি নয় একটি দেয়াল পড়ে গেছে। তিনি বলেন, তিনি ঢাকায় আছেন মেয়র সাহেবকে বলে তার ক্ষতিপুরুণ দেয়া হবে। এব্যাপারে পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মুঠোফোনে কল গ্রহণ না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে পৌরসভায় গিয়ে দেখা যায়, পৌর প্রকৌশলীর কক্ষে তালা বক্তব্য য়োর জন্য মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘটনা সম্পর্কে তাকে কেউ অবহিত করেনি। তিনি বলেন, ঠিকাদারের দায়িত্ব অবহেলার জন্য এ ঘটনা ঘটেলে তাকে ক্ষতিপ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরুণ দিতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস