কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ভোট চুরি ঠেকাতে নাকি সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। রাতে কোনো কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে না। যারা রক্ষক, তারাই যদি ভক্ষক হয় তাহলে ব্যালট পেপার সকালে গেলে যা হবে, রাতে গেলেও তা হবে।
শনিবার (১২ আগস্ট) বিকালে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে টাঙ্গাইলে জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, সত্যিই যদি উৎসবমুখর নির্বাচন হয়, তাহলে সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। দেশের মানুষ যদি ভোট দেয়, ভোট যদি চুরি করা না হয়, তাহলে সেটাই হবে সংবিধান মতো নির্বাচন। কিন্তু কয়েক বছর মানুষ ভোট দিতে পারে না। শয়তানরা ভোট দেয়। দিনের ভোট রাতে হয়।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন, এক অর্থে আমরা কঠিন অবস্থার মধ্যে আছি। দেশ ভালো চলছে, অন্তর থেকে এটা বলার তাগিদ অনুভব করি না।
তিনি আরও বলেন, সরকারে যারা আছেন, তারা প্রতিমুহূর্তে মনে করেন দেশ স্বর্গরাজ্য হয়েছে। কিছু দিন আগে এক মন্ত্রী বলেছেন, আমরা বেহেশতে আছি।নির্বোধকে কোনোভাবে বোঝানো যায় না। যদি নিজেরা বোঝে, তাহলে অন্যের বোঝাতে হয় না। আমি খুব অস্বস্তিতে আছি।
জোটে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, জোটে গিয়েছিলাম।অনেকে মনে করে আমরা বিএনপির জোটে গিয়েছিলাম। এক মুহূর্তের জন্যও বিএনপির জোটে যাইনি। ড. কামাল হোসেনকে দেখে তার নেতৃত্ব মেনে জোটে গিয়েছিলাম।
বর্ধিত সভায় জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউর রহমান বদির সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, সদস্য শামীম আল মনছুর আজাদ সিদ্দিকী, বাসাইল পৌরসভার মেয়র রাহাত হাসান টিপু, জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম সালেক হিটলু, সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ