বাংলা৭১নিউজ,(রংপুর)প্রতিনিধি: রংপুর সদর-৩ আসনের উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রয়াত এইচএম এরশাদের ভাতিজা মকবুল শাহরিয়ার ওরফে আসিফ (আসিফ শাহরিয়ার)।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় নিজ বাসভবনে বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান ও সন্ধ্যায় নগরীর নিউ সেনপাড়া মহল্লায় স্কাই ভিউয়ের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে আসিফ শাহরিয়ার ফল প্রত্যাখ্যান করেন।
ভোটের ফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিটা রহমান বলেন, বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমরা দেখলাম ৭-৮ শতাংশ ভোট পড়েছে, কিন্তু ফলে তা ২০ শতাংশ হলো কীভাবে। এত ভোট কে দিল? ভোটার উপস্থিতি এত কম হওয়ার পরও কীভাবে এত বেশি ভোট পেলেন তারা।
এই উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির ওই প্রার্থী।
যেসব ইউনিয়নে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি আছে, নির্বাচনের আগের রাতে সেসব ইউনিয়নে বিএনপিকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ পোস্টারও ছিঁড়েছে। এতকিছুর পরও আশা করেছিলাম, নির্বাচন ইভিএমে নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু তা হলো না।
অন্যদিকে নগরীর নিউ সেনপাড়া মহল্লায় স্কাই ভিউয়ের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন আসিফ শাহরিয়ার। তিনি বলেন, আমার বড় আশা ছিল—এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু ফলে উল্টোটা দেখলাম।
প্রথম দিকে ফল ঘোষণার সময় আমি এগিয়ে থাকলেও হঠাৎ জাপা প্রার্থী সাদের পক্ষে ফল বেশি দেখানো হলো। এভাবে কারচুপির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত রংপুর-৩ (সদর) উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ।
শনিবার সন্ধ্যার পর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাহতাব উদ্দিন নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ফল কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী, ১৭৫ কেন্দ্রে মহাজোট মনোনীত সাদ এরশাদ লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৮৭৮ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রিটা রহমান (ধানের শীষ) পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৪৭ ভোট ও জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার (মোটরগাড়ি) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৮৪ ভোট।
এ ছাড়া কাজী মো. শহীদুল্লাহ (মাছ) ১ হাজার ৬৬২, তৌহিদুর রহমান মণ্ডল (দেয়াল ঘড়ি) ৯২৪, শফিউল আলম (আম) ৬১১ ভোট পান।
প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ভোটারের এ আসনে ভোট নেয়া হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এ নির্বাচনে ২১.৩১ শতাংশ ভোট পড়ে।
বাংলা৭১নিউজ/এসআর