লেখক ই. জিন ক্যারলকে যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লাখ ডলার দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ম্যানহাটনের ফেডারেল জুরি। খবর সিএনএন।
১৯৯৬ সালের বসন্তে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ড্রেসিং রুমে এ ঘটনা ঘটে।
ক্যারল অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প তাকে বার্গডর্ফ গুডম্যান ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ধর্ষণ করেছেন ও অভিযোগটি অস্বীকারের মাধ্যমে তার মানহানি হয়েছে।
ট্রাম্প যৌন নির্যাতন করেছেন এমন প্রমাণ পাওয়া গেলেও ধর্ষণ প্রমাণিত হয়নি।
তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই দেওয়ানি রায়ের ফলে তাকে কারাগারে যেতে হবে না। ফৌজদারি অপরাধ না হওয়ায় যৌন অপরাধী হিসেবে নিবন্ধন করা হবে না।
এর আগে একাধিক অভিযোগ উঠলেও এই প্রথম ট্রাম্প যৌন নিপীড়নের জন্য আইনগতভাবে দায়ী হলেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ মে) ছয়জন পুরুষ ও তিনজন নারীর বিচারক তিন ঘণ্টারও কম সময়ের আলোচনার পর তাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
রায়ের পর লিখিত বিবৃতিতে ক্যারল বলেন, বিশ্ব অবশেষে সত্যটি জেনেছে। এই জয় শুধু আমার জন্য নয়, প্রতিটি নারীর জন্য যাদের অভিযোগ কেউ বিশ্বাস করেনি বলে কষ্ট পেয়েছেন।
ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে দুই সপ্তাহের এই বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নেন ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আপিলের পরিকল্পনা করছেন বলে জানান তার আইনজীবী।
রায়ের পরে ট্রাম্প নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করেছেন, আমি একেবারেই জানি না এই নারী কে। এই রায় অপমানজনক।
আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের তোড়জোরের মাঝে একের পর এক আইনি ঝামেলায় ফেঁসে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোনো প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা মার্কিন ইতিহাসে বিরল। এর আগে পর্ন তারকা ও প্লে বয় মডেলকে মুখ বন্ধ রাখতে টাকা দিয়ে অভিযুক্ত হন। এছাড়া গোপনীয় নথি নিজের কাছে রাখা, ক্যাপিটল হিলে হামলাসহ একাধিক অভিযোগে তদন্ত চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ