বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক : ‘হানিট্র্যাপ’ বা যৌনকর্মীদের ফাঁদে পড়ে দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি(বিজেপি)’র সাংসদ বরুণ গান্ধীর বিরুদ্ধে।
আজ শুক্রবার দিল্লির প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ আনেন স্বরাজ অভিযান দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদব। দুই নেতা আজ সাংবাদিকদের সামনে বরুণের সরাসরি নাম নেননি। কেবল জানান, ইউপিএ আমলে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য ছিলেন এক বিজেপি সাংসদ। তিনিই বিদেশি যৌনকর্মীদের ফাঁদে পড়ে তথ্য ফাঁস করেছিলেন।
তবে ভূষণ ও যোগেন্দ্র যে নথিপত্র সাংবাদিকদের হাতে তুলে দিয়েছেন তাতে একাধিক বার বরুণ গান্ধীর নাম রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরে মার্কিন আইনজীবী সি এডমন্ডস অ্যালেনের লেখা সেই সংক্রান্ত একটি চিঠি নিয়ে এখন গোটা দেশ তোলপাড়।সি এডমন্ডস অ্যালেন গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি ইমেল পাঠান। তাতে বেআইনি অস্ত্র ব্যবসায়ী অভিষেক বর্মার সঙ্গে বরুণ গান্ধীর যোগাযোগ নিয়ে অভিযোগ করেন অ্যালেন।
তিনি বলেন, বিদেশি তরুণীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করে ফাঁসানো হয়েছে বরুণ গান্ধীকে। আর তাকে ব্ল্যাকমেল করে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতাচ্ছে বর্মা। নিজের অভিযোগের স্বপক্ষে সিডি ও ছবি পাঠিয়েছেন অ্যালেন।
কিন্তু, তার অভিযোগের এখনো কোনো জবাব দেয়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। ইমেলের কপি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকেও পাঠিয়েছেন মার্কিন আইনজীবী। কিন্তু, কোনো পক্ষই এই ইস্যুতে মুখ খোলেনি।
প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন বরুণ গান্ধী।বর্তমানে তিনি উত্তর প্রদেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজের কেন্দ্র সুলতানপুরে ব্যস্ত রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অভিযোগই অবাস্তব। সাংবাদিক বৈঠকে কোনো প্রমাণ পেশ করা হয়নি। সকলেই জানেন প্রতিরক্ষা কমিটিতে গোপন তথ্য নিয়ে আলোচনা হয় না। ২০০২ সালে লন্ডনে পড়ার সময়ে শেষ বার অভিষেক বর্মার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। দুই পরিবারের মধ্যে রাজনৈতিক সূত্রেও পরিচয় রয়েছে। আমি ফৌজদারি মানহানি মামলা করব।’
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা ও এই সময়।