সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

যে নারীরা গোসলের বদলে শরীরে মাখেন লালমাটি

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

আফ্রিকার দক্ষিণ অংশে অবস্থিত একটি সুন্দর দেশ নামিবিয়া। এখানেই বাস হিম্বা নামের এক উপজাতিদের। যাদের দেখতে অন্যান্য উপজাতিদের মতো হলেও তারা বিশেষ বেশ কিছু কারণে। স্বল্প পোশাক, গা ভর্তি পুঁতির গয়না ছাড়াও শরীরে লেগে থাকা কাদামাটি তাদের আলাদা করেছে।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, হিম্বারা কখনো গোসল করেন না। এই জাতির মানুষেরা হিম্বা, ওমুহিম্বা বা ওভাহিম্বা নামেও পরিচিত। নামিবিয়ার উত্তরাঞ্চলে, বিশেষ করে কুনেন অঞ্চলে এদের বাস বেশি। হিম্বারা তাদের লালচে ত্বকের জন্য জনপ্রিয়। আসলে তারা ত্বকে এক ধরনের লাল মাটি ব্যবহার করে।

এখানকার নারীরা শরীরকে চকচকে ও সুগন্ধযুক্ত করতে সর্বদা একটি বিশেষ ধরনরর আয়ুর্বেদিক ওষুধ বা ক্রিম ব্যবহার করে। এই বিশেষ আয়ুর্বেদিক ওষুধ বা ক্রিমটি প্রকৃতপক্ষে নারীদের প্রশান্তি এবং এক ধরনের অনবদ্য গ্ল্যামার দেয়। এর নাম রেড অকরি। হিম্বারা রেড অকরি (গিরিমাটি বিশেষ ও তার রং) নামক ক্রিম তৈরির করার জন্য বিখ্যাত।

jagonews24

এই ক্রিম শুধু হিম্বা নারীরাই ব্যবহার করে। এটি সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। পাশাপাশি পোকামাকড়ের কামড়ও প্রতিরোধ করে। ক্রিমটি ব্যবহারের ফলে শরীরে তেমন লোমও হয় না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য হিম্বা নারীরা নিয়মিত ধোঁয়ায় স্নান করে নেয়।

যেহেতু তারা গোসল করেন তাই শরীর পরিষ্কার রাখতে এবং দুর্গন্ধ মুক্ত রাখেন বিশেষ এক পদ্ধতিতে। পানির বদলে স্মোক বাথ বা ধোঁয়ার মাখেন শরীরে। এভাবেই শরীর পরিষ্কার রাখেন তারা। এর আগে শরীরে বিশেষ লালমাটি মেখে নেন। এরপর একটি পাত্রে কয়লার সঙ্গে কমিফোরা গাছের ডাল এবং পাতা মিশিয়ে নেন।

jagonews24

দক্ষিণ আফ্রিকার এই কমিফোরা গাছের পাতা বেশ সুগন্ধি। এজন্য এই পাতা ব্যবহার করেন তারা। যেহেতু দিনের পর দিন গোসল ছাড়াই থাকতে হয় তাই শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে এই পাতা সাহায্য করে। সেই মিশ্রণে আগুন দিয়ে ধোঁয়া তৈরি করা হয়। শরীরে মোটা কাপড় বা কম্বল পেচিয়ে সেই পাত্রের সামনে বসে পড়েন তারা। যতক্ষণ না শরীর থেকে ঘাম পড়ছে তত ক্ষণ পর্যন্ত তারা এই বিশেষ পদ্ধতিতে স্নান করেন। চুলে মাখেন মাটি এবং গোবরের মিশ্রণ।

তবে গোসল না করার পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। প্রথমত হিম্বারা যে অঞ্চলে বাস করেন তার পুরোটাই মরুভূমি। ফলে গোসলের জন্য পানি পাওয়া কষ্টসাধ্য। এছাড়াও তাদের প্রথা অনুযায়ী শরীরে পানি ছোঁয়ানো তাদের জন্য অশুভ। বিশেষ করে নারীদের জন্য। তবে এখন অনেক হিম্বা নারী গোসল করেন। সেটাও শুধু বিয়ের দিন।

jagonews24

হিম্বাদের প্রধান কাজ হচ্ছে পশুপালন এবং চাষবাস। পুরুষরা এই কাজগুলো করেন। নারীদের শুধু একটিই কাজ তা হচ্ছে- জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করে রান্না করা ও সন্তানদের দেখাশোনা করা। হিম্বা পুরুষরা একাধিক বিয়ে করতে পারেন। অন্যদিকে নিজেদের স্ত্রীদের অন্য পুরুষের সঙ্গে রাত কাটানোর সুযোগ করে দেয়। যাকে বলা হয় ‘ওকুজেপিসা ওমুকাজেন্দু’। এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে অতিথির কাছে এক রাতের জন্য থাকার অনুমতি দেন।

যদিও একজন নারী অতিথির সঙ্গে ঘুমাতে অস্বীকার করতে পারেন। তবে বেশিরভাগই স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে পরপুরুষের সঙ্গে রাত কাটান। তাদের ধারণা, এতে সম্পর্ক ভালো থাকে ও হিংসা দূর হয়।

এদের পোশাকও স্বল্প হয়। শরীরের নিচের অংশে কাপড় থাকলেও উপরের অংশে কোনো কাপড় পরেন না তারা। নারীরা বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী গয়না পরেন। হিম্বা নারীরা যখন বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছান তখন ছাগল অথবা গরুর চামড়া দিয়ে তৈরিকৃত মুকুট যা এরিম্বি নামে পরিচিত। অন্যদিকে সন্তান জন্ম না দেওয়া পর্যন্ত তাকে পূর্ণাঙ্গ নারী হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। আবার বিয়ের পর হিম্বা ছেলেকে একজন পুরুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর আগে তাদের রীতিতে পুরুষের যত কাজ আছে তার কিছুই করতে পারেন না অবিবাহিত পুরুষটি।

সূত্র: গার্ডিয়ান, হাডিটিথ আফ্রিকা

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com