সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০২:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছে ১১ জন, নিখোঁজ ১৯ রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি দুজন শঙ্কামুক্ত নন কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপরে আগামী সপ্তাহে ফের বৃষ্টি বাড়তে পারে খেলনা পিস্তল নিয়ে ধর্মমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আটক ২ যুবক পদ্মাপাড়ে বেড়িবাঁধের জন্য হাহাকার আজও সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাবি শিক্ষক সমিতি কোটা সংস্কার আন্দোলন: সড়ক-রেললাইন অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি, নজর গোটা বিশ্বের আমজাদ খান চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ লক্ষ্মীপুরে বাসচাপায় নানা-নাতনির মৃত্যু নেপোলিয়নের পিস্তল উঠল নিলামে, ২১ কোটিতে বিক্রি ভারতীয় তরুণীর হারানো আইফোন উদ্ধার করল চট্টগ্রাম ডিবি দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতা ভোগের স্বপ্ন জনগণ পূরণ হতে দেবে না: ফখরুল দুবাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশি নিহত টাঙ্গাইলে বিপৎসীমার ওপরে তিন নদীর পানি, ৪৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি চীনের পথে প্রধানমন্ত্রী উরুগুয়েতে নার্সিং হোমে আগুন, নিহত ১০ মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি যুবক নিহত নতুন শর্তে ফের যুদ্ধবিরতি আলোচনার বুকে ছুরিকাঘাত নেতানিয়াহুর!

যে নহরে গোসলের পর জান্নাতে যাবে অনেকে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

নাহরুল হায়াত হলো, জান্নাতের বিশেষ নহর বা নদ, যেখানে গোসল করানোর পর জাহান্নামে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া মানুষগুলো আবার সজীবতা ফিরে পাবে। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনায় এই নদের কথা উল্লেখ আছে। পৃথিবী ‘আবে হায়াত’ বলে এক বিশেষ পানির ব্যাপারে বলা হয়, এই পানি যে পান করবে, সে অমরত্ব লাভ করবে। অনেকের দাবি খিজির (আ.) ওই পানি পান করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

তবে কোরআন-হাদিসে সরাসরি এর প্রমাণ পাওয়া যায় না।

যুগে যুগে কবি-সাহিত্যিকরা আবে হায়াত নিয়ে নানা কাহিনি রচনা করেছেন। খিজির (আ.) এসব কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু। এসব কাহিনিতে দেখানো হয়েছে যে তিনি আবে হায়াত পান করে অমরত্ব লাভ করেছেন। এর মাধ্যমে দুনিয়ায় জীবিত আছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত জীবিত থাকবেন!

তবে পবিত্র কোরআনের বর্ণনামতে মহান আল্লাহ যখন মুসা (আ.)-এর অনুসারীদের ফিরাউনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জিবরাঈল (আ.)-কে ঘোড়াসহ পাঠিয়েছিলেন, সে ঘোড়ার পা যেখানে পড়েছিল, সে মাটিতে বিশেষ প্রভাব পড়ছিল, যা সামেরি সংরক্ষণ করে পরবর্তী সময়ে তা দিয়ে সোনার গোবাচুরকে জীবিত করে।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুসা বলল, ওহে সামেরি! তোমার ব্যাপার কী? সে বলল, ‘আমি দেখেছি যা ওরা দেখেনি, অতঃপর আমি প্রেরিত ব্যক্তির (অর্থাৎ জিবরাইলের) পদচিহ্ন থেকে এক মুঠ মাটি নিলাম, অতঃপর আমি তা নিক্ষেপ করলাম (বাছুরের প্রতিকৃতিতে)। আমার মন আমাকে এ মন্ত্রণাই দিল। ’ (সুরা ত্বহা, আয়াত : ৯৫-৯৬)

পৃথিবীতে সেই মাটি আর কেউ সংরক্ষণ করেনি। তাই তা নিয়ে আলোচনাও নেই। তবে জান্নাতে এমন একটি নদ আছে, যাকে বলা হয়, ‘নাহরুল হায়াত’ বা সঞ্জীবনী নদ। যেখানে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া লোকদের গোসল করানো হবে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, জান্নাতিরা যখন জান্নাতে আর জাহান্নামিরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে তখন আল্লাহ বলবেন, যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান আছে তাকে বের করো।

অতঃপর তাদের এমন অবস্থায় বের করা হবে যে তারা পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। তাদের জীবন-নদে নামিয়ে দেওয়া হবে। এতে তারা তর-তাজা হয়ে উঠবে যেমন নদী তীরে জমাট আবর্জনায় সজীব উদ্ভিদ গজিয়ে ওঠে। নবী (সা.) আরো বলেন, তোমরা কি দেখ না সেগুলো হলুদ রঙের হয়ে আঁকাবাঁকা হয়ে উঠতে থাকে?’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫৬০)

অন্য হাদিসের একাংশে বিষয়টি আরো বিস্তারিতভাবে ইরশাদ হয়েছে, তারপর নবী (সা.), ফেরেশতা ও মুমিনরা সুপারিশ করবে। তখন মহা পরাক্রান্ত আল্লাহ বলবেন, এখন শুধু আমার শাফাআতই বাকি আছে। তিনি জাহান্নাম থেকে একমুষ্টি ভরে এমন কতগুলো কওমকে বের করবেন যারা জ্বলে-পুড়ে দগ্ধ হয়ে গিয়েছে।

তারপর তাদের জান্নাতের সম্মুখে অবস্থিত ‘হায়াত’ নামের নহরে ঢালা হবে। তারা সে নহরের দুই পাশে এমনভাবে উদগত হবে, যেমন পাথর এবং গাছের কিনারে বয়ে আনা আবর্জনায় বীজ থেকে তৃণ উদগত হয়। দেখতে পাও তার মধ্যে সূর্যের আলোর অংশের গাছগুলো সাধারণত সবুজ হয়, ছায়ার অংশেরগুলো সাদা হয়। তারা সেখান থেকে মুক্তার দানার মতো বের হবে।

তাদের গর্দানে মোহর লাগানো হবে। জান্নাতে তারা যখন প্রবেশ করবে, তখন অন্যান্য জান্নাতবাসী বলবেন, এরা হলেন রহমান কর্তৃক আজাদকৃত, যাদের আল্লাহ কোনো নেক আমল কিংবা কল্যাণকর কাজ ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন। তখন তাদের বলা হবে, তোমরা যা দেখেছ, সবই তো তোমাদের, এর সঙ্গে আরো সমপরিমাণ তোমাদের দেওয়া হলো। ’ (বুখারি, হাদিস : ৭৪৩৯)

অর্থাৎ তারা নতুন জীবন ফিরে পাবে। তাদের শরীরে জাহান্নামের দেওয়া আঘাতের কোনো চিহ্ন থাকবে না। তারা একদম নিখুঁত ও সুদর্শন হয়ে উঠবে। যেমনটা মুসলিম শরিফের বর্ণনায়ও আছে, জাহান্নাম দগ্ধীভূত হয়ে যখন রোদে পোড়া তিলগাছের ন্যায় কালো বর্ণ ধারণ করবে, তখন তাদের বের করে আনা হবে। এরপর তারা জান্নাতের একটি নহরে নেমে গোসল করবে। পরে সবাই কাগজের ন্যায় সাদা ধবধবে হয়ে সে নহর থেকে উঠে আসবে। ’  (মুসলিম, হাদিস : ৩৬১)

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com