শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাগরে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত চট্টগ্রামে মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৩ ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু: ওবায়দুল কাদের বিষয় ছাড়া কীভাবে ডায়ালগ হবে? প্রধানমন্ত্রীকে ড. ইউনূসের প্রশ্ন সব ধরনের সবজির বাজার উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল পাউবো’র ৮টি জোনের মধ্যে প্রথম স্থানে ফরিদপুর মুখোমুখি বিতর্কে বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প এগিয়ে আজ ফুটবলার রাউল গঞ্জালেজের জন্মদিন ‘খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, দায় সরকারের না’ ৪০ লাখ ডলার জেতার আনন্দে হার্ট অ্যাটাক করলেন তিনি নতুন শিক্ষাক্রমে গ্রামের অভিভাবক খুশি, আপত্তি শহুরে বাবা-মায়ের আল-আকসার ইমামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনল ইসরায়েল ডিএনসিসির অভিযানে ৬০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে ১০ বিঘা ভূমি উদ্ধার আমের রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী তিন সেতু থেকে টোল আদায় ১৪৭২ কোটি টাকা ফল ও সবজির রপ্তানি বাড়াতে পর্যাপ্ত এয়ার কার্গো চান ব্যবসায়ীরা এবি ব্যাংকের মোংলা সমুদ্রবন্দর উপশাখার উদ্বোধন শুক্রবার ভোট, কে হচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের মতবিনিময় সভা টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার

যেসব ব্যক্তির জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

তিন ব্যক্তির প্রয়োজন মেটানোর সাহায্য চাওয়াকে বৈধ বলেছেন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যাদেরকে সাদকার মাল থেকে সাহায্য করা যাবে। আর এসব ব্যক্তি সাহায্য পেয়ে বিপদমুক্ত হলে সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। হাদিসের দিকনির্দেশনাও এমনই। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাদের জন্য সাহায্য চাওয়াকে বৈধ বলেছেন; তারা কারা?

কারো পাওনা আদায়ের কেউ যদি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জামিনদার হয় তবে ওই ঋণ পরিশোধে সাহায্য চাওয়া যাবে। এবং সাহায্য প্রার্থনার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করাও বৈধ। এমনই একটি হাদিসে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন ব্যক্তির ব্যাপারে সাহায্য চাওয়ার বৈধতার ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত কাবিসা ইবন মুখারিক রাদিয়াল্লাহু আনহু এ মর্মে বর্ণনা করেছেন যে, আমি একজনের পাওনা আদায় করে জামিন হয়েছিলাম এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে এ ব্যাপারে তাঁর সাহায্য চাইলাম।

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন যে, ‘হে কবিসা! আমার কাছে সাদকার কোনো মাল আসা পর্যন্ত তুমি অপেক্ষা করো; (সাদকার মাল) আসলেই আমি তোমাকে দিয়ে দেব। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে কবিসা! সাদকা তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য বৈধ নয়। (সাদকা যাদের জন্য বৈধ; তারা হলেন)-

১. যে কারো পাওনা আদায় করে দেওয়ার জামিন হয়, তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ। যাতে সে নিজের আবশ্যকীয় প্রয়োজন মিটাতে পারে।

২. যার উপর কোনো বিপদ আসে এবং তার ধন-সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে যায়। তার জন্যও সাহায্য চাওয়া বৈধ। যাতে তার বিপদ দূর হয়ে যায়। এরপর সে সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত হয়ে যায়।

৩. আর এমন অভাব্যগ্রস্থ ব্যক্তি যার সম্পর্কে তার গোত্রের তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি এ মর্মে সাক্ষ্য দেয় যে, ‘সে অভাবগ্ৰস্ত’; তাহলে তার জন্যও সাহায্য চাওয়া বৈধ। যাতে সে নিজের আবশ্যকীয় প্রয়োজন মিটাতে পারে।

হে কাবিসা! এ তিন প্রকার ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ নয়। অন্য কেউ যদি সাহায্য নিয়ে খায় তাহলে সে হারাম খায়।’ (নাসাঈ)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর এসব বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য দেওয়ার মাধ্যমে বিপদমুক্ত করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com