কিছু আমল আছে যেগুলো আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। তার একটি হলো, গুরুত্বসহ সময়মতো নামাজ আদায় করা। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করলাম, আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমাল কোনটি? তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করা। ’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তারপর কোনটি? তিনি বলেন, ‘মা-বাবার প্রতি সদ্বব্যবহার করা।
’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তারপর কোনটি? ‘তিনি বলেন আল্লাহর পথে জিহাদ করা। ’ তিনি আমাকে এই কথাগুলো বলেন, যদি আমি আরো প্রশ্ন করতাম তাহলে তিনি আরো অতিরিক্ত বিষয়ে বলতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৫৫)
এ ছাড়া যেকোনো নেক-আমল ধারাবাহিকতা বজায় রেখে করা হলেও তা আল্লাহর প্রিয় আমলে পরিণত হয়। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল কী? তিনি বলেন, ‘যে আমল সদাসর্বদা নিয়মিত করা হয়। যদিও তা অল্প হয়। ’ তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা সাধ্যের অতীত কাজ নিজের ওপর চাপিয়ে নিয়ো না। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪৬৫)
পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর প্রিয় কালাম। এই কালাম যারা পড়বে এবং তার ওপর আমল করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য আল্লাহর কালাম সুপারিশ করবে। হাদিসে মহানবী (সা.) কিছু কালামের কথা উল্লেখ করেছেন, যা মহান আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। সামুরাহ ইবনে জুনদাব (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে বেশি পছন্দনীয় কালাম চারটি— সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার (অর্থ : আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর, এক আল্লাহ ছাড়া আর উপাস্য নেই এবং আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) এগুলোর যেকোনো শব্দ দ্বারা তুমি শুরু করো, এতে তোমার কোনো ক্ষতি নেই। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৪৯৪)
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ