বাংলা৭১নিউজ, রাজশাহী: সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ আজ কোনো দেশ বা জাতির একক সমস্যা নয়। বিশ্ব শান্তির জন্য জঙ্গিবাদ মারাত্মক হুমকি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী সেনানিবাসে শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, সেনাবাহিনীর বগুড়ার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মোশফেকুর রহমান, বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট সেন্টার (বিআইআরসি) কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আশরাফউল কাদের ও এডহক প্যারা কমান্ডোর ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ বেসামরিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সফল জিম্মি উদ্ধার অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে নিজেদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ১৩ জন দেশ-বিদেশি নাগরিককে উদ্ধার করে। এতে দেশের ভাবমূর্র্তি উজ্জ্বল হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আতিয়া মহলে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ সাহসিকতার সঙ্গে পরিচালনা করে প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
তিনি বলেন, আধুনিক ও যুগোপযোগী ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার। বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০২১’র ধারাবাহিকতায় এবং ফোর্সেস গোল-২০৩০’র আলোকে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি তাদের আধুনিকায়ন অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনী আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি প্রতিষ্ঠিত ও গ্রহণযোগ্য বাহিনী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছে। স্পেশাল ফোর্স ও কমান্ডোদের আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং সমরসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্নের ধারাবাহিকতায় সেই ঐতিহাসিক দিন থেকে শুরু করে অনেক চড়াই–উতরাই পেরিয়ে সেনাবাহিনী আজ কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই সেনাবাহিনী চৌকষ ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/বিকে