ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে প্রস্তাবটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে প্রস্তাবটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বক্তৃতায় বাইডেন বলেন, ‘প্রস্তাবিত পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে একটি জনবহুল এলাকা থেকে আইডিএফ বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটি সত্যিই একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মুহূর্ত। হামাস বলেছে তারা যুদ্ধবিরতি চায়। তারা সত্যি যুদ্ধবিরতি চায় কিনা তার প্রমান এই চুক্তিটি মেনে নেয়ার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পাবে।’
তিনি আরো যোগ করে বলেন, ‘প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক গাজায় নিয়ে যাওয়াসহ বিপর্যস্ত অঞ্চলে আরো মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেবে এই যুদ্ধবিরতি।’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন হামাসকে প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এক্স -এ বলেছেন, ‘এই চুক্তিটি অবশ্যই মেনে নিতে হবে যাতে আমরা লড়াই বন্ধ হওয়া দেখতে পারি।’
লর্ড ক্যামেরন আরো বলেছেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তি দিয়েছি আসছি যে, যুদ্ধ বন্ধ হলে স্থায়ী শান্তি ফিরে আসবে এবং এক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আসুন এই মুহূর্তটিকে কাজে লাগাই এবং এই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাই।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এক্স-এর একটি পোস্টে এ পদক্ষেপের স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ব গাজায় চরম দুর্ভোগ ও ধ্বংসলীরা প্রত্যক্ষ করেছে, এখন থেমে যাওয়ার সময়।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং যুদ্ধবিরতি চাই। সকল জিম্মিদের মুক্তি, অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে শেষ পর্যন্ত একটি টেকসই শান্তির এই সুযোগটি কাজে লাগাতে সকল পক্ষকে আহ্বান করছি।’
তবে বাইডেন পরে স্বীকার করেছেন, কিছু ইসরায়েলি এবং ইসরায়েলি সরকারের কিছু কর্মকর্তারা সম্ভবত এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি ইসরায়েলি নেতাদের এই চুক্তির পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছি। যতই রাজনৈতিকচাপ আসুক না কেন।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট সরাসরি ইসরায়েলি জনগণকে সম্বোধন করে বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তটি হারাতে পারি না।’
সূত্র : বিবিসি