বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: সুমী ঝড়ের প্রভাবে গত কয়েক দিনে টেক্সাস এবং নিউ ইংল্যান্ডে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বদিকে হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে এই ঝড়। বৃহস্পতিবার ভয়ঙ্কর ‘বোম্ব সাইক্লোন’ বা বোমা ঘূর্ণিঝড়।
বোমা ঘূর্ণিঝড়ে সাধারণত প্রচণ্ড বাতাসের সঙ্গে বড় বড় বরফ খণ্ড পড়তে থাকে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মারাত্মক আকারে বেড়ে যায়। বোমা ঝড়ের আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় তিন হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিভিন্ন শহরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ফ্লোরিডায় বরফ পড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গত ১০ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ ঠাণ্ডা পড়েছে, তা আগে কখনো পড়েনি।
মার্কিন আবহাওয়া দফতর সতর্ক করে জানিয়েছে, বোম্ব সাইক্লোনের প্রভাবে বৃহস্পতিবার ৬-১২ ইঞ্চি পুরু বরফে ঢেকে যেতে পারে বিভিন্ন এলাকা। সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ মাইল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে।
আর মার্কিন বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ভয়াবহ আশঙ্কার কথা! দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তাপমাত্রা যেখানে গিয়ে ঠেকবে, তা প্রতিবেশী মঙ্গল গ্রহের ঠাণ্ডাকেও নাকি হার মানাবে।
এরই মধ্যে নিউ হ্যাম্পশায়ারে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। তাপমাত্রা পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলের তাপমাত্রাও এতটা কম নয়!
বোম্ব সাইক্লোনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২ হাজার ৭০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। আতঙ্কও কাজ করছে!
শুধু পূর্ব উপকূলই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলেও ছড়িয়ে পড়েছে বোম্ব সাইক্লোন। ওই অঞ্চলও সাইক্লোনের প্রভাবে পুরো এলাকা বরফে ঢেকে গেছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত বুধবার বেশকিছু এলাকায় ৫-৬ ইঞ্চি তুষারপাত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বরফ পড়েছে ফ্লোরিডা ও জর্জিয়ায়।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ১৯৮৯ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রে এমন ঠাণ্ডা দেখা যায়নি। এমন ঝড়ের মুখেও পড়তে হয়নি মার্কিন নাগরিকদের। বর্তমানে যে ঝড় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে সাধারণত বিজ্ঞানীরা একে ‘ওয়েদার বোম্ব’ বা ‘বোম্ব সাইক্লোন’ বলে থাকেন।
এ ধরনের নিম্নচাপ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঝড়ে পরিণত হলে তার ফল মারাত্মক হয় বলেই বিজ্ঞানী বলছেন। তাদের মতে, কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর হতে পারে এ ঝড়। প্রচুর তুষারপাত আর কনকনে ঝোড়ো হাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার কিংবা শুক্রবার আঘাত হানতে পারে বোম্ব সাইক্লোন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস