মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের যোগদানের বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করেছিল বিএনপি। এবার জানা গেছে, জাইমা রহমানের সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন বিএনপির অন্যতম দুই শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃস্পতিবার বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এই দুই শীর্ষ নেতা। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে তাদের।
এর আগে, মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাইমা রহমানের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তখন তিনি বলেন, ‘আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অংশ নিচ্ছেন না। তবে ওই অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান যোগ দেবেন।’
দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এই মুহূর্তে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যের বাসায় অবস্থান করছেন। তিনি সেখানে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এমন অবস্থায় মাকে রেখে কোথাও যেতে চাইছেন না তারেক রহমান। এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানেও যাবেন না তিনি। তবে ওই অনুষ্ঠানে নিজে উপস্থিত হতে না পারলেও তার প্রতিনিধি হিসেবে মেয়ে জাইমা রহমানকে পাঠাচ্ছেন তিনি।
সূত্র আরও জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে জাইমা রহমানের ভিসা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এটিই হবে এ ধরনের বৈশ্বিক কোনো আয়োজনে জাইমা রহমানের প্রথম অংশগ্রহণ।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানটি ১৯৫৩ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, সিনেটর, কংগ্রেস সদস্য, ব্যবসায়ী ও ১০০টিরও বেশি দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন।
এই অনুষ্ঠানটি একটি নির্দলীয় সংস্থা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক অভিজাতদের একত্রিত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার এবং একত্রে প্রার্থনা করার জন্য একটি বিশেষ ফোরাম।এই ফাউন্ডেশন মার্কিন নীতিনির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্ব শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ