এবার যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া প্রদেশে গুলির ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে একটি গির্জার সামনে। বন্দুকধারী সেখানে দুই নারীকে গুলি করে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেন। গত কয়েকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে একের পর এক বন্দুক হামলা হয়েই চলেছে। এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো দেশে। এ খবর দিয়েছে ডয়চে ভেলে।
খবরে বলা হয়, হামলার সময় কর্নারস্টোন নামের ওই গির্জায় অনুষ্ঠান চলছিল। সেসময়ই সেখানে হামলা হয় বলে জানান শেরিফ অফিসের চিফ ডেপুটি নিকোলাস লেনি। তিনি বলেন, এটা একেবারেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ঘটনাস্থলে একজন মাত্র বন্দুকধারী ছিল। এই হামলার আগে উইসকনসিনের গ্রেসল্যান্ডে একটি কবরস্থানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলাকালীন বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে।
গত মে মাসের শেষ দিকে নিউ ইয়র্কে একটি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে৷ নিউ ইয়র্কের বাফালোর সুপারমার্কেটে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল বন্দুকধারী। সেই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়। সেই হামলা ছিল বর্ণবাদী। এরপর হামলা হয় টেক্সাসের একটি প্রাইমারি স্কুলে। এতে ১৯ শিশুসহ ২১ জন নিহত হন। এরপরই পাওয়া গেলো আইওয়ার এই বন্দুক হামলার খবর।
এসব হামলার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র আইন নিয়ে প্রশ্ন আরো বড় হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও জানিয়েছেন অবিলম্বে অস্ত্র আইনের সংস্কার দরকার৷ তিনি বলেন, আর কতদিন আমরা এইভাবে নরহত্যা সহ্য করে যাব? অস্ত্র আইন কড়া করুন। ওই বক্তব্যের পরই আইওয়ার হামলাটি হয়।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: ডয়চে ভেলে