বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে নিখোঁজদের যে তালিকা র্যাব দিয়েছে তার মধ্যে তেহজীব করিম (৩৩) নামের একজনের ভাই ব্রিটেনে আত্মঘাতী হামলা পরিকল্পনায় দণ্ডিত হয়েছিলেন পাঁচ বছর আগে।
তেহজীব গত ১৭ জুলাই শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে নিখোঁজ হন বলে তার পরিবারের জানান।
তার মেঝ ভাই রাজিব করিম বর্তমানে যুক্তরাজ্যের কারাগারে। ব্রিটিশ এয়ারওয়াজের এই কর্মীকে ২০১১ সালে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির একটি আদালত।
ইয়েমেনের মুসলিম নেতা আনওয়ার আল আওলাকির ‘ভক্ত’ রাজীব যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি উড়োজাহাজ বোমা ফাটিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজিব যখন গ্রেপ্তার হন, সে সময় ইয়েমেনে ছিলেন তার ছোট ভাই তেহজীব।
রাজিব-তেহজীবের বাবা জয়নুল করিমের পৈত্রিক বাড়ি ঢাকার গ্রিনরোডে। এক সময় গার্মেন্টসহ কয়েকটি ব্যবসা চালালেও এখন কিছু করছেন না তিনি।
জয়নুল জানান, থাইল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল হাউস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে ডেল্টা টিচিং (ইংরেজি শিক্ষা বিষয়ক) কোর্সের জন্য তেহজীব গত ১৩ মার্চ ব্যাংকক যান। ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি ও আরবি ভাষা জানতেন তেহজীব।
১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন তিনি। এরপর মোবাইলে গাড়িচালকের সঙ্গে কথা হলেও পরে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলে জানান তেহজীবের বাবা।
র্যাব মঙ্গলবার নিখোঁজ ২৬১ জনের যে তালিকা দিয়েছে তাতে ২৪ নম্বরে তেহজীবের নাম রয়েছে।
ওই তালিকায় ছেলের নাম দেখে জয়নুল করিম বলেন, “তারা যে তালিকা দিয়েছে সে অনুযায়ী নিখোঁজ সবার পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হোক। অবিলম্বে তাদের খুঁজে বের করা হোক।”
তেহজীব বাংলাদেশের কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে আছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
জয়নুল করিম বলেন, তার মেঝ ছেলে রাজিব যুক্তরাজ্যে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার সঙ্গে একবার ঢাকায় ব্রিটিশ দূতাবাসে গিয়েছিলেন তেহজীব।
“বড় ভাইয়ের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাকে।”
তিনি জানান, ঢাকার স্কলাসটিকা থেকে ‘এ লেভেল’ শেষ করে তেহজীব একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও তার বাল্যবন্ধু সীরাহ রশীদকে বিয়ে করেন।
“এরপর আমাকে না জানিয়ে কয়েক মাসের জন্য একবার পাকিস্তান যায়। পরে পরিবার নিয়ে ইয়েমেন ঘুরে আসে।”
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস