সাম্প্রতিক সময়ে লকডাউন ও ঈদ পূর্ববর্তী মানুষের নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার আকুতি ও জরুরি প্রয়োজনকে টার্গেট করে এক শ্রেণির হাইওয়ে দুর্বৃত্তের আবির্ভাব হয়েছে। যারা বিভিন্ন ধরনের প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে স্বাভাবিকের তুলনায় কম ভাড়ায় মোটামুটি অবস্থাপন্ন ব্যক্তিদের যাত্রী হিসেবে তুলে নেয়।ম
তারপর সুযোগমত হাত পা বেঁধে চালায় অবর্ণনীয় শারীরিক নির্যাতন! পারিবারিক সক্ষমতা অনুযায়ী দাবি করে মুক্তিপণ বা চাঁদা!
কাঙ্ক্ষিত টাকা (চাঁদা) বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ হলে তবেই মুক্তি মেলে এই সব ঘটনার ভিকটিমদের। তাদের ফেলে দেয়া হয় হাইওয়ের কোনো নির্জন স্থানে।
সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার মো. ফারুক হোসেন (৪৩) এক ভিকটিম আসেন মানিকগঞ্জ থানায়। অভিযোগকারী শিক্ষক মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে রাজবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি প্রাইভেট কারে উঠেন। উঠার পরপরই পাশের সিটে যাত্রীবেশে থাকা দুর্বৃত্তরা তার হাত পা বেঁধে মারধর শুরু করে দাবি করে লক্ষাধিক টাকার।
পৃথক দুটি বিকাশ নম্বরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের পরই তার মুক্তি মেলে। গাবতলিতে তাকে নামিয়ে দেয়া হয়। ওই ঘটনার অভিযোগ পেয়ে দ্রুত মামলা রুজু করে মানিকগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- যশোরের অভয়নগর এলাকার মৃত্যু মোস্তাহিন শেখের ছেলে মো. আবুল বাশার (৪২), নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার জব্বার শেখের ছেলে মো. আলীম হোসেন শেখ (৩৫) ও পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার ইন্তাজ প্রামাণিকের ছেলে বাবর আলী বাবু (৩২)। প্রত্যেকই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
এছাড়াও তাদের হেফাজত থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত প্রাইভেট কার, লুণ্ঠিত টাকা, স্টিলের পাইপ ও রশি দড়ি উদ্ধার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন হাইওয়েতে এধরনের অপরাধ করছিল মর্মে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। তারা স্বেচ্ছায় তাদের অপরাধ সম্পর্কে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মানিকগঞ্জ সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা জানান, অননুমোদিত যানবাহন ও অপরিচিত কারো গাড়িতে ভ্রমণ না করতে জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা সাধারণ যাত্রীদের অনুরোধ করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস