সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
লোডশেডিং আগের তুলনায় কমেছে, দাবি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক মহড়ার নির্দেশ পুতিনের চট্টগ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডব : সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল ব্যাহত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে একীভূত হবে না ন্যাশনাল ব্যাংক, নিজেরাই সবল হতে চায় প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাক্ষাৎ ধামরাই ঝড়ে টিনের চালা ভেঙে পড়ে দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হিলি দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মাঠে কাজ করছিলেন স্বামী, খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে গৃহবধূ নিহত ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, ম্যাচ শুরু হবে ১৫ মিনিট দেরিতে এবার রাফাহ খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের হবিগঞ্জে বজ্রপাতে নারীসহ ২ জনের মৃত্যু জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল রূপালী ব্যাংকে হিসাব খোলার মাইলফলক উদযাপন রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহযোগিতার জন্য ওআইসি সদস্যদের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা ‘আওয়ামী লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি’

যশোরে হঠাৎ পরিবহন ধর্মঘটের ঢাল ‘অবৈধ চালক’

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(যশোর)প্রতিনিধি: নতুন সড়ক আইন সংশোধনসহ ১০ দফা দাবিতে যশোরাঞ্চলের ১৮ রুটে চলছে পরিবহন ধর্মঘট।

রোববার দিনব্যাপী অচল অবস্থার পর রাতে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিক নেতারা বৈঠকে বসেন। তারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলেও সোমবার তা বাস্তবায়ন হয়নি।

খুলনা বিভাগের সব জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে পরিবহন ধর্মঘট। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে চরমে।

শ্রমিক নেতাদের দাবি, শাস্তির খড়গ নিয়ে রাস্তায় নামতে চাইছে না শ্রমিকরা। এজন্য স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।

আর বৈধ কাগজপত্রের চালকরা বলছেন, অবৈধ কাগজপত্রের চালকরা মাঠে নামতে পারছে না। তাই শ্রমিক নেতাদের ইন্ধনে তারা ধর্মঘট পালন করছে। এ ক্ষেত্রে অনেককেই বাধ্য করা হচ্ছে।

পুলিশ প্রশাসন বলছে, শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে ধর্মঘট না হওয়ায় আলোচনাও ফলপ্রসূ হচ্ছে না। তবে আলোচনা চলছে।

জানা গেছে, সড়ক আইন ২০১৮ সংশোধনসহ ১০ দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে যশোর অঞ্চলের ১৮ রুটে স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি শুরু করে পরিবহন শ্রমিকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা কয়েকটি পরিবহন আটকে দেয় শ্রমিক ও শ্রমিক নেতারা। বৈধ কাগজপত্রের চালকরা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামতে চাইলেও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

ওইসব গাড়ির চালকদের দাবি, শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের মাঠে নামিয়ে জিম্মি করছে। এ জন্য বৈধ কাগজপত্র থাকলেও অনেক চালক নামতে পারছে না।

শহরের খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে একাধিক যাত্রী বলেন, ঘোষণা ছাড়াই পরিবহন ধর্মঘট চলছে। অথচ কেউ দায় নিচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবে মেনে নেয়া উচিত নয়। বৈধ কাগজপত্র না থাকলে রাস্তার নামার দরকার নেই। কিন্তু যাদের বৈধ কাগজপত্র আছে, তারা কেন গাড়ি বন্ধ রাখবে। তাদেরকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করা হোক।

শহরের পালবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে সাইদুল ইসলামে নামে এক যাত্রী বলেন, জনগণের ভোগান্তির বিষয়টি কেউ আমলে নিতে চায় না। সবাই নিজেদের ধান্দায় ব্যস্ত। নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সরকারকে আরও কঠোর হওয়া উচিত।

এদিকে রোববার দিনভর এই অচলাবস্থার পর রাতে যশোর কোতোয়ালি থানায় শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী ধর্মঘট নিয়ে আলোচনা হলেও সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন সোমবার পরিবহণ চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানালেও শ্রমিকদের অবস্থান পরিষ্কার নয়।

যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সভাপতি মামুনূর রশীদ বাচ্চু বলেন, বৈধ কাগজপত্রের গাড়ি ও চালকদের বাধা দিচ্ছে না। ৯০ শতাংশ চালক রাস্তায় নামছে না। ফলে বাকী ১০ শতাংশ চালক বিবেকের তাড়নায় মাঠে নামেনি। সবাই স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি পালন করছে। যদি কেউ অভিযোগ করে, সেটি সঠিক নয়।

মামুনূর রশিদ বাচ্চু আরও বলেন, শ্রমিকদের কর্মবিরতি মালিক ও শ্রমিকদের কোনো সংগঠন ডাকেনি। ফাঁসির দড়ি সামনে নিয়ে শ্রমিকরা পরিবহনে কাজ করতে রাজি নয়। তাই তারা স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি শুরু করেছে। এটা কোনো ইউনিয়ন বা ফেডারেশনের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি নয়। পরিবহন শ্রমিকরা ইচ্ছামত কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, রোববার রাতে বৈঠকে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আশ্বাস দিয়েছিলেন সোমবার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করবে। কিন্তু এখানে শ্রমিক কিংবা বাস মালিক সংগঠন নয়, শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি পালন করছে। ফলে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না শ্রমিক সংগঠনগুলো। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কঠোর হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি।

বাংলা৭১নিউজ/এমএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com