বাংলা৭১নিউজ,(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ এলাকায় গত কয়েক দিনে যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। গত শনিবার (১৩ জুন) রাতে যমুনার পেটে চলে গেছে নবনির্মিত দোতলা বিশিষ্ট পাইকশা মাইঝাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙন রোধে এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড বা স্থানীয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
যদি ভাঙন রোধে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তাহলে পার্শ্ববর্তী চৌহালী উপজেলার মত নাগরপুর উপজেলাও এক সময় যমুনা নদীর কড়াল গ্রাসে বিলীন হয়ে যাবে। নদী ভাঙনে গৃহহারা লোকজন গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে জীবনযাপন করছেন। ভাঙনে রোধে স্থায়ী কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী। এরই মধ্যে এলাকার অনেকে ভাঙন আতঙ্কে তাদের সহায়সম্বল নিয়ে অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার শাহজানী, আটাপাড়া, মারমা, সলিমাবাদ, পাইকশা, দপ্তিয়রসহ কয়েকটি গ্রামে যমুনা নদীর প্রবল ভাঙন দেখা দেয়। ফলে ওইসব এলাকার ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
পাইকশা মাইঝাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান বলেন, গত বছর বন্যায় এ এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। সে সময় যদি ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হত তাহলে আজ আমাদের বিদ্যালয়টি যমুনায় বিলীন হয়ে যেত না।
খাসঘুণীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও নাগরপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস শফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকে দিনের প্রবল ভাঙনে এলাকার মসজিদ, মাদরাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই ভাঙন রোধে তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এছাড়া যারা নদী ভাঙনে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন তাদের পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যেহেতু করোনার প্রভাবে স্কুল বন্ধ তাই ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী বিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এফআর