সয়াবিন তেল দাম বাড়ার খবরে ময়মনসিংহে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল। বেড়েছে পামওয়েল-কোয়ালিটির দামও। একই সঙ্গে বেড়েছে ব্রয়লার, লেয়ার, সাদা কক ও সোনালী মুরগির দাম। বাজারে এসেছে বেশ কয়েক প্রকার নতুন সবজি। সেগুলো বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
ময়মনসিংহের ঐহিত্যবাহী শম্ভুগঞ্জ বাজারে ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।
শম্ভুগঞ্জ মধ্য বাজারের রাজলক্ষী স্টোরের বিক্রেতা নুপুর জানান, খোলা সয়াবিন তেল, পাম তেল ও কোয়ালিটি তেলের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সয়াবিন তেলের আরও বাড়তে পারে। বোতলজাত তেল ১৫৩ টাকা লিটার, খোলা সয়াবিন ১৫০ টাকা, কোয়ালিটি ১৪৫ টাকা, পাম তেল ১৩৫ টাকা, সরিষার তেল ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, দেশি মসুর ডাল ১১০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল ৮৫ টাকা, মাসকলাই ডাল ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, অ্যাংকার ডাল ৪৫ টাকা, খেসারি ডাল ৭০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা, বুটের ডাল ৮০ টাকা, ছোলা বুট ৭০ টাকা, চিনি ৮০ টাকা এবং আটা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ওই বাজারের মুরগি বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, চাহিদা বেশি হলেও আমদানি কম থাকায় সব প্রকার মুরগির দাম বেড়েছে।
তিনি জানান, ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা, সোনালী মুরগি ৫০ টাকা বেড়ে ২৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকা, সাদা কক ৪০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের মাংস বিক্রেতা সুলতান মিয়া বলেন, খাসির মাংস ৮০০ টাকা এবং গরুর মাংস ৫৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর হাঁসের ডিম হালপ্রতি ৪০ টাকা, ফার্মের মুরগির ডিম ৩২ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মধ্য বাজারের সবজি বিক্রেতা রনি মিয়া জানান, বাজারে বেশ কয়েক প্রকার নতুন সবজি এসেছে। তাই কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, কাকরোল ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, দেশি করলা ৬০ টাকা, শিম ১৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা, মুখী কচু ২০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, পেঁচা কচু ৪০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লতা ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা, কুমড়া ৩৫ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা এবং লেবু ১০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, রসুন ৫০ টাকা, আদা ৮০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ মহালের মাছ বিক্রেতা বিক্রেতা হারুন মিয়া বলেন, পাঙাশ মাছ ছাড়া সব প্রকার মাছের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
তিনি জানান, পাঙাশ ১২০ টাকা, রাজপুটি ২৬০ টাকা, বাইম মাছ ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ টাকা, সিলভার কার্প মাছ ১৭০ টাকা, গ্রাসকার্প মাছ ২৪০ টাকা, বাউশ মাছ ২৪০ টাকা, কারপিও মাছ ২২০ টাকা, রুই মাছ ২৮০ টাকা, ইছা মাছ ৪৮০ টাকা, টেংড়া ৩০০ টাকা, গুজি মাছ ৪০০ টাকা, লাছ বাটা ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/পিকে