বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: মার্কোস রোহোর শট নাইজেরিয়ার জালে জড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। পরে একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। পরে ভক্ত-সমর্থকদের তিনি নিজেই জানিয়েছেন সুস্থ থাকার কথা।
গত পরশু রাতে সেন্ট পিটার্সবার্গে আর্জেন্টিনার স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে আবেগের নিখাদ ও চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ দেখিয়ে নতুন এক নাটকের জন্ম দেন ম্যারাডোনা। আবেগের রোলার কোস্টারে চেপে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় একপর্যায়ে ভিআইপি গ্যালারিতে একটি চেয়ারের ওপর পড়েও গিয়েছিলেন। ম্যাচ শেষেও গ্যালারিও ছেড়েছেন অন্যের সাহায্যে। এরপরই গুঞ্জন উঠে অসুস্থ ম্যারাডোনাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ম্যারাডোনা পরে নিশ্চিত করেছেন তিনি ভালো আছেন।
রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার খেলা মানেই গ্যালারিতে ম্যারাডোনার সরব উপস্থিতি। দলের ব্যর্থতায় হতাশায় নখ কামড়াতে, মুখ ঢাকতে দেখা গেছে তাকে। মঙ্গলবার নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার বাঁচা-মরার লড়াইয়েও গ্যালারিতে ছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। লিওনেল মেসি
আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেয়ার পর নাইজেরিয়া সমতা ফিরিয়েছিল। ৮৬ মিনিটে রোহোর গোলে জয় নিশ্চিত হয় দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। রোহোর গোলের পরই উল্লাসে ফেটে পড়েন ম্যারাডোনা। পরে প্যারামেডিকদের তাকে শুশ্রূষা করতে দেখা যায়।
পরে হাসপাতালে যাওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে ম্যারাডোনা ফেসবুকের মাধ্যমে জানান, ঘাড়ের ব্যথা থেকে সেরে উঠেছেন তিনি। সবাইকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি, ‘আপনাদের সবাইকে বলতে চাই আমি ভালো আছি। আমি হাসপাতালে নেই বা আমাকে হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়নি। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বিরতির সময় ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা পাই। ডাক্তার আমাকে পরীক্ষা করে দ্বিতীয়ার্ধের আগে মাঠ থেকে চলে যেতে বলেছিলেন কিন্তু আমি থাকতে চেয়েছিলাম। কেননা আমরা সবকিছুর জন্য খেলছিলাম। কিভাবে আমি চলে যাব? সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’
বাংলা৭১নিউজ/বিকে