বাংলা৭১নিউজ,(মৌলভীবাজার)প্রতিনিধি:বন্যা ও জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেতে ভাসমান বীজতলা তৈরি করে চারা উৎপাদনে সফলতা পেয়েছেন মৌলভীবাজারের কৃষকরা। এবারই প্রথম এ পদ্ধতিতে জেলার সদর উপজেলা ছাড়াও কয়েকটি উপজেলার কৃষক এই বীজতলায় রোপা আমনের চাষাবাদ শুরু করেছেন। কৃষকরা বলছেন, এ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনে খরচও কম।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত কান্তি দত্ত জানান, প্রতি বছর বন্যা আর অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় মৌলভীবাজার জেলায় বেশিরভাগ চাষিরা চারা বীজের জন্য সঠিক সময়ে চাষাবাদ করতে পারেন না। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবারই প্রাথমিক পর্যায়ে সদর উপজেলার আথানগিরি, নাজিরাবাদ ও কনকপুর ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামে ভাসমান বীজতলা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। বীজতলা তৈরি করাও সহজ।
ভাসমান বীজতলা তৈরি প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রথমে কয়েকটি কলাগাছ একসঙ্গে বেঁধে ভেলা তৈরি করতে হয়। তারপর ভেলার ওপর কঁচুরিপানা সাজিয়ে তার ওপর দুই থেকে তিন ইঞ্চি পরিমাণ মাটি দিলেই বীজতলা হয়ে যায়। এক একটি ভেলা অন্তত দশ মিটার হলে ভাল। নদীতে করা হলে ভেলাটি যেন স্রোতে ভেসে না যায়- এজন্য তা একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখতে হবে। পরীক্ষামূলক ভাসমান বীজতলা তৈরি করে শুরুতেই ব্যাপক সফলতা পাওয়া গেছে। এবার জেলার অন্যান্য উপজেলা মিলে প্রায় ১৬০টি ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়।
বীজতলা তৈরি এই পদ্ধতি নিয়ে কয়েকজন কৃষকও তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তারা জানান, এ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনে খরচ কম এবং সঠিক সময়ে তারা এ বছর রোপা আমন চাষাবাদ করতে পেরেছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগও তাদের দরকার মতো পরামর্শসহ নানাভাবে সহযোগিতা করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি