বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দুদকের মহাপরিচালক ও পরিচালক পদে পদোন্নতি বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার না হলে কারখানা বন্ধ করবেন ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ী ইছহাক দুলালের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘিরে ভাঙনের শঙ্কায় নেতানিয়াহুর সরকার গর্দান ও তলোয়ার দুটো একসঙ্গে থাকতে পারে না : হাসনাত বরিশালের সামনে কোনঠাসা ঢাকা, ১৩৯ রানে অলআউট ১৩ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরলো হাসিনা ও তার পরিবারের নাম পরিবেশকদের পদচারণায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে উৎসবমুখর পরিবেশ কোনো ভোটই রাতে হবে না : ইসি মাছউদ প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছেন বিএনপির সালাহউদ্দিন গাজায় যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানালো জাতিসংঘ এবি ব্যাংক ‘সম্পূর্ণা’ গ্রাহকের পরিবারের হাতে তুলে দিলো আর্থিক সহায়তা বরিশালের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ঢাকা শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশ-আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ১৭ বছর পর কারামুক্ত লুৎফুজ্জামান বাবর পটুয়াখালীতে শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স ডা. ফয়েজ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রেস্তোরাঁ খাতে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে না বিএনপি বাবরকে বরণে নেত্রকোনা থেকে ৩০ হাজার মানুষ ঢাকায়

মোদীর সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে শুরু হওয়া ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দেয়।

শনিবার (জুন ২২) দুপুরে হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমাদের দু’পক্ষের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা অন্য পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের দুই দেশের এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।

 

শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে ঢাকা ও দিল্লি নতুনভাবে পথচলা শুরু করেছে, সে ধারাবাহিকতায় আমরা ‘রূপকল্প ২০৪১’র ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ অনুসরণ নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি।

বাংলাদেশের টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশ শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতকরণে একটি ‘রূপকল্প ঘোষণা’ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ‘ডিজিটাল অংশীদারত্ব’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারত্ব’ বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্প সামনে রেখে কাজ করতে দুপক্ষই সম্মত হয়েছি।

দুই দেশের মধ্যকার সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত এবং দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে আমরা দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি।

 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তার সুবিধাজনক সময়ে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ সফর করার আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা।

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সেইসব বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি যারা ১৯৭১ সালের আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান, আমাদের স্বাধীনতার এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদানের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলাম। পরবর্তীকালে আমি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র আমন্ত্রিত ‘অতিথি দেশ’র নেতা হিসেবে নয়াদিল্লিতে ভারতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেই। এখন আমি এই একই ‘জুন’ মাসে অভূতপূর্ব দ্বিতীয়বারের মতো নয়াদিল্লি সফর করছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ৯ জুন অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার নবগঠিত মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আরও কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে নয়াদিল্লি সফর করি। এসবই আমাদের এ দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগে যৌথ বিবৃতিতে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

যৌথ বিবৃতির আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০টি সমঝোতা স্মারক ও নথি সই করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, তিনটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন। ডিজিটাল অংশীদারত্ব’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারত্ব’ বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্প সামনে রেখে কাজ করবে ভারত এবং বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দুটি যৌথ কার্যক্রমের নথি সই করে দুই দেশ।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com