বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে একশ’ কোটি টাকার মানহানির নোটিস পাঠালেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া।
কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে সিদ্দারামাইয়াকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলায় গতকাল (সোমবার) ওই নোটিশ পাঠিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করা হয়েছে।
কর্ণাটকে আগামী ১২ মে বিধানসভা নির্বাচন হবে। রাজ্যে মূলত ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং বিরোধী বিজেপি’র মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারে দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে সোচ্চার হচ্ছে।
নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকারের বিরুদ্ধে ‘কমিশন প্রথা’র অভিযোগ সম্বলিত কটাক্ষ করে ‘এখানে সিদ্দা-রুপেয়া সরকার চলছে’ এবং ‘টেন পার্সেন্ট সরকার চলছে’ বলে মন্তব্য করেন।
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ওই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন, ভুয়া ও অসত্য’ বলে দাবি করেছেন। আইনজীবী মারফত এ ব্যাপারে সাত পৃষ্ঠার নোটিসে হুঁশিয়ারি দিয়ে সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে, নইলে তার বিরুদ্ধে একশ’ কোটি টাকা মূল্যের ফৌজদারি মানহানি মামলা দায়ের করা হবে।‘
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং কর্ণাটকে বিজেপি’র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকেও ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, একইদিনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ড. মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, পদকে ব্যবহার করে বিরোধীদের সম্পর্কে দিনের পর দিন তিনি যেসব মন্তব্য করে আসছেন, আজ পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রীকে তিনি তা করতে দেখেননি।
তিনি কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এতটা নীচে নামা দেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মোটেও আদর্শ নয়। কোনো প্রধানমন্ত্রীকে তিনি কখনো এত নীচে নামতে দেখেননি এবং এ ধরনের আচরণ দেশের পক্ষে সুস্থ লক্ষণ নয় বলেও ড. মনমোহন সিং মন্তব্য করেন।সূত্র: পার্সটুডে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস