শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

মোদির নামে শুধু জুতো বানানোই বাকি: মমতা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: ‘জ্যাকেট-সিনেমা আগেই তৈরি হয়েছে। মোদির নামে এখন শুধুমাত্র জুতো বানানোই বাকি রয়েছে।

এবার জুতো তৈরি করার পালা। আর তা পায়ে দিয়ে ঘুরবে আমজনতা।’ শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাটের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তীব্র এ কটাক্ষ ছুড়ে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা ব্যানার্জি।

এদিন বালুরঘাট আসন থেকে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের পক্ষে প্রচারণায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এবারের নির্বাচন পুরো দেশের স্বার্থে। মনে রাখবেন, এবারও যদি মোদিবাবু ক্ষমতায় আসেন, সব ধরনের স্বাধীনতা হারাবে জনগণ। খবর এনডিটিভির।

বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ এনে মমতা বলেন, মোদির ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তৃণমূল।

তিনি বলেন, ‘আমিও হিন্দু। কিন্তু আমি স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রী রামকৃষ্ণের হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাস করি। আমি হিন্দু আদর্শ অনুসরণ করি।

তার মানে এই না যে, আমাকে অন্যান্য ধর্মকে অসম্মান করতে হবে। আমি মানবতার আদর্শ নিয়ে অন্য ধর্মের কর্মকাণ্ডে অংশ নিই।’

২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের সময় নিজের আসনে দলের প্রচারণায় গিয়ে এক বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়েন অর্পিতা। বাঁচার আশা ছিল না। বহু দিনের চিকিৎসায় আস্তে আস্তে ক্রাচ দিয়ে হাঁটতে সক্ষম হন। এখন দাঁড়াতে পারেন তিনি। অর্পিতাকে নিয়ে মমতা বলেন, ‘অর্পিতার বিরুদ্ধে অনেকে অনেক কথা বলছে। তাকে ভুল বুঝবেন না। ও লড়াকু মেয়ে। এখানে কাজ করতে এসে খুব বড় বিপদের মুখে পড়েছিল। সেখান থেকে বেঁচে ফিরেছে। আপনারা তাকে আবার ফিরিয়ে আনুন। নাটক, সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে ও জড়িত এবং ভালো কাজও করেছে।’

বিজেপি এবার একটি আসনও পাবে না- মন্তব্য করে মমতা বলেন, এখন মোদি আর বিজেপির অন্য নেতাদের সবাই ভয় পায়। ভাবেন, এই না দাঙ্গা বাধিয়ে দেয়। বিজেপি বলছে, বাংলা, ওড়িশা দখল করব। এই দু’জায়গা দখল করে কী হবে? অন্যত্র তো বিজেপি শূন্য পাবে। তাহলে কি ক্ষমতায় ফিরবে।

চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, এবার আঞ্চলিক দলগুলোর ফলাফল দেখে বিজেপি টের পাবে তাদের ক্ষমতা কতখানি। ছড়া কেটে বলেন, ‘২০১৯ মানে বিজেপি ফিনিশ।

১৪২৬ মানে বাংলায় ৪২ এ ৪২। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগেও তিনি আত্মপ্রত্যয়ের সুরে জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে আগামী সরকার গড়তে তৃণমূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এদিনও সেই ইঙ্গিতই তিনি দিলেন।
হুগলিতে লকেটের বাড়িতে ভাংচুর : লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোট ৬ মার্চ। আর বেশি দিন নেই। প্রচারের জন্য কয়েকদিন ব্যান্ডেলোর একটি বাড়িতে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি আসনের বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।

শুক্রবার সেখানেই হামলা চালায় কয়েকজন। ঘরে ঢুকে টেলিভিশন, কম্পিউটার ভাংচুর করা হয়। খবর শুনে সাংবাদিকরা সেখানে গেলে তারাও আক্রান্ত হন।

ব্যান্ডেলোর লিচুবাগানের এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আপাতত রয়েছেন লকেট। শুক্রবার সেখান থেকে বেরিয়ে চুঁচুড়ার কয়েকটি জায়গায় প্রচারের কথা ছিল তার। দ্য হিন্দু।

বাড়িতে ভাংচুর প্রসঙ্গে লকেট বলেন, ‘প্রচারে বেরিয়েছিলাম। এসে দেখি বাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়েছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতরাই এসে ভাংচুর চালিয়েছে।

কেন প্রার্থীকে বাড়িতে রাখা হয়েছে, এই রোষেই ভাংচুর চালিয়েছে ওরা। একটা কথা বারবার বলছি, আমাদের যত ভাংচুর করো, আমরা কিন্তু লড়বই।’ ঘটনার পর পুলিশ অনেক দেরিতে এসেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
তবে লকেটের এ অভিযোগ কানে তুলতে নারাজ তৃণমূল। তাদের দাবি, বাড়িতে ভাংচুরের ঘটনায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই আসলে দায়ী।

তৃণমূলের তরফে বলা হয়, ‘লকেটের অস্থায়ী বাসস্থানে তার দলের কর্মীরাই ভাংচুর চালিয়েছেন। এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ওরা বাঁচার জন্য তৃণমূলের নাম করছে।’

ঘটনার সময় এক সাংবাদিককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভেঙে দেয়া হয় তার মোবাইল। ঘটনায় সৌমেন কর নামে এক যুবককে আটক করেন স্থানীয়রা। এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত সৌমেনকে ছাড়াতে ঘটনাস্থলে আসেন হুগলির বিজেপি জেলা সভাপতি সুবীর নাগ।

বাংলা৭১নিউজ/এইচ.এস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com