বাংলা৭১নিউজ(ভোলা)প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে এক নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। একই দিন উপজেলার দুলারহাট থানার একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এদিকে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুর রহিম (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
ভোলার শশীভূষণ থানা সূত্রে জানা গেছে, হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের খেজুরগাছিয়া ঘাট এলাকার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার এক প্রবাসীর স্ত্রী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এলাকার সাত যুবক তাঁর ওপর নির্যাতন চালায়। পরে রাতেই অভিযুক্ত রিয়াজ (২৫), আবু তালুকদার (৩০) ও রেদওয়ানকে (২৬) আটক করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চরফ্যাশন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পাটওয়ারী ও শশীভূষণ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম।
ওসি মনিরুল জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নুরে আলমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দুলারহাট থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা করেছেন।
অন্যদিকে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার শিকদারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে (৩০) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
নির্যাতিতার বড় বোন জানান, জন্মের পর থেকেই তাঁর বোন মানসিক প্রতিবন্ধী। গত মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবেশী ফজর শেখের বাড়িতে যায় তাঁর বোন। এ সময় ফজর শেখের শ্যালক আব্দুর রহিম তাঁর ওপর নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় কাউকে না জানাতে ভুক্তভোগীকে শাসিয়ে হাতে ২০ টাকা গুঁজে দেয় রহিম। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন রহিমকে পিটিয়ে পুলিশে দেয়।
দৌলতপুর থানার ওসি সুনীল কুমার কর্মকার বলেন, ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ মামলায় আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসক