বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: একমাত্র মেয়ে মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
আজ সোমবার ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত-১২ এর বিচারক ইসরাত জাহান এ আদেশ দেন।
আদালত আদেশে বলেন, কন্যাশিশুর অভিভাবক হচ্ছেন মা। মায়ের জিম্মায়ই মেয়ে থাকবে। কন্যার সর্বোত্তম মঙ্গলের জন্য মায়ের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। বাবা মাসে কেবল দুই দিন মায়ের বাড়িতে গিয়ে মায়ের উপস্থিতিতে মেয়েকে দেখে আসবেন। কন্যাশিশুকে নিয়ে মা দেশের ভেতরে ও বাইরে যেতে পারবেন।
আদালতের এ আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বাঁধন বলেন, মেয়ের অভিভাবকত্ব পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন আমাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছি মেয়েকি নিয়ে। আদালতের আদেশে আমি অত্যন্ত খুশি। কারণ আমার কাছে শুধু জিম্মায়ই নয়, মেয়ের সম্পূর্ণ অভিভাবকত্ব আদালত আমাকে দিয়েছেন।
বাঁধন বলেন, আমাদের দেননমোহরের টাকা আমি কখনও দাবি করিনি। মেয়ের ভরণ-পোষণের টাকাও এতোদিন তার বাবা দেননি। আমিও চাইনি। কিন্তু বাবার কাছে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকার প্রত্যেক মেয়ের রয়েছে। মেয়েকে দেখাশোনা করা প্রত্যক বাবার দায়িত্ব। এদিন বিবাদী মাশরুর সিদ্দিকী আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তবে তার আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
বাঁধনের আইনজীবী দিলরুবা শরমিন বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, উপমহাদেশে এ রায় উদাহরণ হয়ে থাকবে। কেবল আইন দিয়েই নয়, মানবিক বিষয় বিবেচনা করে মামলাটি পরিচালনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাশরুর সিদ্দিকী ও আজমেরী হক বাঁধনের বিয়ে হয়। আর ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। এরপর গত বছরের আগস্ট মাসে মেয়ে সায়রাকে তার সাবেক স্বামী নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন বাঁধন। এরপর গত বছরের ৩ আগস্ট মা হিসেবে মেয়ের অধিকার পাওয়ার জন্য আদালতে কাস্টডি (জিম্মা) চেয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস