বাংলা৭১নিউজ, হারুনুর রশিদ, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার পৌর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় অনুমোদনহীন ফার্মেসিতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই দেশি-বিদেশি ওষুধ বিক্রি হচ্ছে অবাধে। দোকানীদের বিরুদ্ধে মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে। ফার্মেসি থেকে সর্দি, কাশি, জ্বরসহ বিভিন্ন রোগের কথা বলে ওষুধ ক্রয় করছে সাধারণ ক্রেতাসহ মাদকাসক্তরা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।
জানা যায়, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ হলেও বেশির ভাগ ফার্মেসি তা মানছে না। এসব ফার্মেসি থেকে অহরহ কেনা যায় ঘুম ও নেশা জাতীয় তরল পদার্থের ওষুধ। এমনকি উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনতেও কারও কোনো বেগ পেতে হয় না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দুই শতাধিক ফার্মেসি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ড্রাগ লাইসেন্স আছে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি ফার্মেসির। আবার লাইসেন্স প্রাপ্ত ফার্মেসি গুলোও ওষুধ প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া শর্ত যথাযথভাবে করে না অনুসরণ। এসব দোকানে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই প্রায় ৭০ ভাগ ওষুধ বিক্রি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে, এমনকি জীবন বিপন্নও হতে পারে। অভিজ্ঞজনের মতে, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রয়ের জন্য কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় উচ্চমাত্রার ঘুমের ওষুধ সংগ্রহ করতে ফার্মেসির সরণাপন্ন হচ্ছে মাদকাসক্তরা। ঘুমের ওষুধ বা চেতনানাশক ওষুধ ব্যবহার করা মাদকাসক্তরা জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধে ।
ফার্মেসি মালিক সমিতির সভাপতি আবুল বাসার বলেন, লাইসেন্সধারী ফার্মেসির চেয়ে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির সংখ্যা বেশি থাকায় এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রির ঘটনা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরণের হুমকি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে জানানো হবে।
এ নিয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায় বলেন, অনুমোদনবিহীন ফার্মেসিগুলোতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া দেশি-বিদেশি ওষুধ বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আমরা প্রায় সময় অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। তবে এ বিষয়গুলো সরাসরি নজর রাখার কথা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ফার্মেসি নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস