বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: বার্সেলোনা কি পারবে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে? চেলসির বিপক্ষে শেষ আটের প্রথম লেগের খেলা দেখার পর অনেকের মনেই এমন প্রশ্ন জেগেছিল।
কিন্তু যাদের দলে লিওনেল মেসির মতো একজন যাদুকর থাকেন, ভিন গ্রহের ফুটবলার থাকেন, তাদের পথ রোধ করে দাঁড়ানোর সাধ্য আছে কার? চেলসিরও ছিল না সেই সাধ্য। তাইতে প্রথম লেগে ১-১ ব্যবধানে ড্র করেও ফিরতি লেগে হেরে গেছে ৩-০ ব্যবধানে। যেখানে বার্সার হয়ে জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি। মেসির সহায়তায় অপর গোলটি করেছেন দেম্বেলে। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে চেলসিকে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বার্সেলোনা।
বুধবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচের ১২৮ সেকেন্ডের মাথায়ই এগিয়ে যায় বার্সা। এ সময় ডি বক্সের সামনে থেকে দেম্বেলেকে বল বাড়িয়ে দিয়ে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন মেসি। দেম্বেলে বল মেসিকে বাড়িয়ে দেওয়া চেষ্টা করলেও বলটি চলে যায় চেলসির রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড়ের কাছে। কিন্তু তিনি বল রিসিভ করতে পারেননি। বল তার পায়ে লেগে চলে যায় লুইস সুয়ারেজের কাছে। ততোক্ষণে মেসি গোলপোস্টের ডানপ্রান্তে চলে যান। দ্রুততার সঙ্গে সুয়ারেজ বল বাড়িয়ে দেন মেসির দিকে। মেসি নিখুঁতভাবে কোনাকুনি শট নিয়ে চেলসির গোলরক্ষক থাইবার্টের দুই পায়ের ফাঁক গলিয়ে জালে পাঠান। এটি ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির ৯৯তম গোল।
এই শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার প্রাণপণ চেষ্টা করে চেলসি। চালায় বেশ কয়েকটি শক্তিশালী আক্রমণ। যার কয়েকটি ছিল খুবই সম্ভাবনাময়। কিন্তু ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ২০ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করে ফেলেন ওসমানে দেম্বেলে। এ সময় মাঝমাঠে ভুল পাসে বল পেয়ে যান মেসি। চেলসির দুইজন খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে দ্রুততার সঙ্গে বল নিয়ে সামনে এগিয়ে যান তিনি। বল নিয়ে বামপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে পড়েন ডি বক্সের মধ্যে। এরপর বাড়িয়ে দেন ডানপ্রান্ত থেকে ডি বক্সের মধ্যে আসা দেম্বেলেকে। দেম্বেলে জোরালো শট নেন। বল গোলরক্ষকের হাতে লেগেও জালে আশ্রয় নেয়। প্রথমার্ধের শেষ দিকে চেলসির নেওয়া একটি ফ্রি কিক বারে লেগে ফিরে আসে। তাতে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।
বিরতির পর ম্যাচের ৬৩ মিনিটেই লিওনেল মেসি তার জোড়া গোল পূর্ণ করেন। এ সময় ডি বক্সের সামনে আলতো করে লিওনেল মেসিকে বল বাড়িয়ে দেন সুয়ারেজ। মেসি বল নিয়ে বামপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ঢোকেন। গোলরক্ষক দুই হাত প্রসারিত করে মেসির শট নেওয়ার অপেক্ষায় প্রস্তুত থাকেন। কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত মেসি শট নেন গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে। বল তার গন্তব্যে চলে যায় (৩-০)। মেসি তার জোড়া গোল পূর্ণ করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগে করেন গোলের সেঞ্চুরি।
এরপর বেশ কিছু ভালো আক্রমণ হলেও সেগুলোর কোনোটিতেই গোল হয়নি। ফলে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে বার্সা।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস