বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেলেন নৌবাহিনীর ২০০ সদস্য নির্বাচনের সঙ্গে গণতন্ত্রের সম্পর্ক নেই: ফরহাদ মজহার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর বিবেচনার অনুরোধ গাছ লাগানোর বিষয়টি আত্মায় ধারণ করা উচিত: পরিবেশ উপদেষ্টা সাবেক এমপি জর্জ ৩ দিনের রিমান্ডে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা স্থগিত থাকবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা আজ ঢাকায় আসছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে গুলি, কার্যক্রম বন্ধ শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক হাসিনাসহ মামলার আসামি সাবেক ৩ সিইসি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করা হবে বেনজীর-শহীদুলের বিরুদ্ধে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত সংখ্যালঘুরা আমাদের আমানত: মির্জা ফখরুল সিদ্ধিরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এএসআই নিহত ঢাকা থেকে হংকং যাওয়ার ফ্লাইটে বাংলাদেশি যাত্রীর মৃত্যু রংধনু গ্রুপের রফিক ও মিজানের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অস্থিরতা কাটছে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে, আজও বন্ধ ২৫ কারখানা গুলিবিদ্ধ ফাহিমকে ব্যাংকক পাঠিয়েছে সরকার, দেওয়া হয়েছে ৮ লাখ টাকা সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে যা বললেন আসিফ নজরুল

মেঘনায় প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে বসতঘর-ফসলি জমি

ভোলা প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

ভোলার বিচ্ছিন্ন মাঝের চরে মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙনের দেখা দিয়েছে। এতে গত কয়েকদিন ধরেই বিলীন হচ্ছে বসতঘর ও ফসলি জমি। ভাঙনের কবলে পড়ে ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা কৃষকরা। অপরদিকে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আতংকিত স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে মেঘনা নদীর তীব্র স্রোতে ভেঙে যাচ্ছে সদর উপজেলার কাচিয়ার ইউনিয়নের কৃষির রাজ্য নামে পরিচিত বিচ্ছিন্ন মাঝের চর। আর চরের রামদেবপুর, চর টবগী ও মধুপুরের পাঁচটি পয়েন্টে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ভাঙনের কবলে প্রতিদিনই কমবেশি ফসলি জমি ও বসতঘর মেঘনায় বিলীন হচ্ছে। নদী ভাঙনের কারণে কেউ কেউ ফসলি জমি হারিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বসতঘর হারিয়ে হয়েছেন গৃহহীন।

মাঝের চরের বাসিন্দা মো. আলী হোসেন জানান, মেঘনার তীব্র ভাঙনে বসতঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে থাকার জায়গা নেই। বসতঘর হারিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছি।

বিলকিস বেগম, জাহানারা বেগম ও মো. বেলায়েত হোসেন জানান, বসতঘর অনেক বছর আগে মেঘনায় বিলীন হয়েছে। পরে মাঝের চরে এসে সরকারি ঘর পেয়ে শান্তিতে বসবাস শুরু করি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে মেঘনায় তীব্র ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে ভাঙন থাকলে হয়তো কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের বসতঘরও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

কৃষক মো. লোকমান হোসেন হোসেন, মো. আল আমিন ও মো. শাজাহান জানান, প্রতি বছর ভোলার এই চরে ধান, গম, ভূট্টা, সরিষা, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদ করি। কিন্তু বর্তমানে মেঘনায় ভাঙনের কারণে ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন দ্রুত বন্ধ করা না হলে মাঝের চরে চাষাবাদ থাকবে না।

মো. সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মো. জহির ও মো. রাসেল জানান, মাঝের চরে প্রায় আট হাজার মানুষ বসবাস করছি। তাদের বেশিভাগই কৃষি কাজে যুক্ত। আর অল্প কিছু পরিবার মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। গত প্রায় দুই বছর ধরে মাঝের চর ভাঙন শুরু হয়েছে। তখন খুবই কম ভাঙতো। কিন্তু এখন ভাঙনের তীব্রতা অনেক বেশি। মাঝের চরের নদীতে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে বর্তমানে বেশি ভাঙন বলে দাবি করেন তারা।

তারা আরও জানান, দ্রুত ভাঙনে রোধ না করলে ফসলি জমি, বসতঘরের পাশাপাশি আশ্রায়ণ প্রকল্প ঘর, সাইক্লোন শেল্টার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিলীন হয়ে যাবে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো ডিভিশন-১) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, একটি প্রকল্প পাশের মাধ্যমে আমরা মাঝের চরকে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষা করতে পারবো। এজন্য শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এছাড়াও বালু মহল সীমানার বাহিরে এসে কেউ যাতে কেউ বালু উত্তোলন করতে না পারে সেজন্য মনিটরিং করা হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com