বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: মেঘনায় তেলবাহী ট্যাংকারের ধাক্কায় মাটিবোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচজন সাঁতরে তীরে উঠলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ২০ জন।
বুধবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার সীমান্তবর্তী কালিপুরা এলাকার মেঘনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের বরাত দিয়ে গজারিয়া থানার ওসি হারুনুর রশিদ জানান, ঘটনাস্থলটি চাঁদপুরের মতলব উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার উপজেলার সীমান্তবর্তী কালিয়াপুর এলাকার মেঘনা নদীতে।
মঙ্গলবার ভোররাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ট্রলারে মাটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলী এলাকায় যাচ্ছিলেন ২৫-৩০ শ্রমিক। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ট্রলারটি কালিয়াপুর নামক স্থানে পৌঁছার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী ট্যাংকার তাদের ট্রলারে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়।
ট্রলারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে অন্যরা সাঁতারে প্রাণে বাঁচলেও এখনও ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ ২০ জনের মধ্যে ১৮ জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। ১৮ জনের মধ্যে ১৭ জনের বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এবং একজনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু হবে বলে জানান ওসি।
নিখোঁজ ২০ জনের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় মিলেছে, তারা হলেন- পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মুণ্ডুমালা গ্রামের গোলাই প্রামাণিকের ছেলে সোলেমান হোসেন, জব্বার ফকিরের ছেলে আলিফ হোসেন ও মোস্তফা ফকির, গোলবার হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন-১, আব্দুল মজিদের ছেলে জাহিদ হোসেন, নূর ইসলামের ছেলে মানিক হোসেন, ছায়দার আলীর ছেলে তুহিন হোসেন, আলতাব হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন-২, লয়ান ফকিরের ছেলে রফিকুল ইসলাম, দাসমরিচ গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ওমর আলী ও মান্নাফ আলী, তোজিম মোল্লার ছেলে মোশারফ হোসেন, আয়ান প্রামাণিকের ছেলে ইসমাইল হোসেন, সমাজ আলীর ছেলে রুহুল আমিন, মাদারবাড়িয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আজাদ হোসেন, চণ্ডিপুর গ্রামের আমির খান ও আব্দুল লতিফের ছেলে হাচেন আলী এবং উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রহমত আলী।
বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ