বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: এটি প্রচলিত সাঁতারের পোষাক নয়। বরং গলা থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ঢাকা, সেইসঙ্গে মাথাও পুরোপুরি আবৃত। মুসলমান মেয়েদের জন্য তৈরি করা বিশেষ এ সাঁতারের পোশাকের নাম ‘বুর্কিনি’। আর এই বুর্কিনি ইস্যু নিয়ে ফ্রান্সে এখন চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ফ্রান্সের মার্সেইলে স্মাইল১৩ নামে একটি সংগঠন শহরের একটি বিখ্যাত ওয়াটার ফ্রন্ট ভাড়া নিয়ে নারীদের জন্য সাঁতার কাটার অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চেয়েছিল।
তবে নগর কর্তৃপক্ষ এর অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সেই সঙ্গে অনেক রাজনীতিবিদ কঠোর ভাষায় এ উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন।
বন্দর নগরী মারসেইয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার হচ্ছেন মুসলমান। মুসলমান নারীদের নিয়ে এই আয়োজনের উদ্যোগের সমালোচকরা বলছেন, এটা ফরাসি সংস্কৃতির বিপরীত ধারা।
এর মাধ্যমে মুসলমানরা নিজেদের আলাদা গোষ্ঠী হিসেবে প্রমাণ করতে চাইছে। তবে সমর্থকরা বলছেন, স্রেফ ইসলাম ভীতি থেকে এর বিরোধিতা করা হচ্ছে।
ডানপন্থী দল ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্টির নেতা ফ্লোরিয়ান ফিলিপ্পোট বলেছেন, ‘এ ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন নিষিদ্ধ করা উচিৎ। এতে জনগণের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।’
শহরের দক্ষিণের অংশের উপশহরের মেয়র বামপন্থী মিশেল এ্যামি বলেছেন, তিনি এই অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান।
তিনি বলেন, ফ্রান্সে যখন একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে, তখন এ ধরণের অনুষ্ঠান নতুন করে উস্কানি দেবে সন্ত্রাসীদের।
তবে সমালোচকদের নিন্দা জানিয়ে রাজনীতিবিদ প্যাট্রিক মেন্যুচি বলেছেন, ‘শরীর ঢেকে সাতার কাটা কি আইনবিরোধী? না, কোন স্থান নিজের করে নেওয়া সরকার অনুমোদিত। এটা মুসলমানবিরোধী বিতর্ক।’
সূত্র: আলজাজিরা
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস