বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম থেকে লাখ লাখ মুসলিমকে তাড়িয়ে সেখানে আরও একটি রাখাইন তৈরির ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের প্রবীণ নেতা আরশাদ মাদানি।
সম্প্রতি রাজধানী নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আসামে বৈধ নাগরিকদের যে তালিকা বা ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি) তৈরির কাজ চলছে তা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশ হওয়ার কথা।
তালিকা থেকে রাজ্যের লাখ লাখ মুসলিম বাদ পড়তে পারেন, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করে দিল্লিতে চলতি সপ্তাহে একটি সেমিনার আয়োজন করে দিল্লি অ্যাকশন কমিটি ফর আসাম।
সেমিনারে মাদানি বলেন, ‘চারশ বছর ধরে যারা বংশ পরম্পরায় আসামে বসবাস করছেন তাদের আপনি বাংলাদেশি বলে বাইরে ছুড়ে ফেলে দেবেন, তা আমরা কিছুতেই হতে দেব না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরিষ্কার বলতে চাই, তাহলে আগুন জ্বলে যাবে। ভারতীয় নয় বলে এই মুসলিমদের যদি আপনি বের করার চষ্টো করেন, তাহলে তো বলব আসামের বিজেপি সরকার এটাকে আর একটা মিয়ানমার বানানোর চষ্টো করছে।’
বিবিসি জানায়, এমন মন্তব্য করার পর আসামে তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সে রাজ্যে একের পর এক এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে।
আসাম পুলিশ তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড় করছে। বিভিন্ন দলের মুসলিম নেতারাও তার মন্তব্য নিয়ে সাবধানী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
আসামের বিশষ্টি বুদ্ধিজীবী হীরেন গোহাইসহ ওই সভার উদ্যোক্তারা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জানান, এ বক্তব্যের দায় তাদের নয়। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অসমিয়া ও হিন্দু সংগঠনগুলো এর পরই মওলানা মাদানির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছে।
তার কুশপুতুলও পোড়ানো হয়। তবে রাজ্যে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় দল এআইডিইউএফ বলেছে, তার বক্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, “মাদানির বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমার সন্দেহ, উর্দুতে দেয়া তার বক্তব্য মিডিয়ার সবাই বোঝেনি। তিনি কিন্তু শান্তি বজায় রাখার কথাই বলেছিলেন। উনি শুধু একটা সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেটা অনেকে বুঝতে পারেনি।’
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস