বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: কোটি কোটি টাকার ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বিজয় মালিয়া৷ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ মালিয়া পর্যন্ত এখনও পৌঁছতে পারেননি তদন্তকারীরা৷ কিন্তু দফায় দফায় মালিয়ার সম্পত্তির একটা বড় অংশ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷
এই সব তথ্য সংবাদমাধ্যমের দৌলতে এখন প্রায় সকলেরই জানা৷ আর সেই ‘সাধারণ জ্ঞান’কে কাজে লাগিয়ে ‘অসাধারণ’ কাজ করার অভিযোগ উঠল মুম্বইয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে৷ আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে আপাতত বছর ৪৫-এর ওই ব্যক্তিকে খুঁজছে মুম্বই পুলিশ৷
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয় মালিয়ার বাজেয়াপ্ত হওয়া দামি এসইউভি গাড়ি বিক্রির নাম করে প্রতারণার ছক কষে ওই ব্যক্তি৷ জানানো হয়, ওই গাড়িটি নিলামে উঠবে৷ কম দামে গাড়িটি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আট জনের কাছ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই ব্যক্তি৷
তদন্তকারীদের দাবি, ওই প্রতারক কখনও নিজের নাম বলত আর কে সিনহা৷ আবার কখনও নিজেকে রাজীবকুমার সিং বলে পরিচয় দিত৷ কখনও সে নিজেকে ইডি অফিসার আবার কখনও কাস্টমসের আধিকারিক বলে দাবি করত৷
এভাবেই গত কয়েক মাসে মুম্বইয়ের সিবিডি ও খরঘর এলাকার আট জনের কাছ থেকে ওই প্রতারক টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ।
এই অবস্থায় তদন্তে নেমেছে মুম্বইয়ের দুই থানার পুলিশ৷ তবে তদন্তের শুরুতেই অভিযুক্তের পরিচয় নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা৷ কারণ, তাঁদের কাছে অভিযুক্তের নাম জানা নেই৷ তবে প্রতারিত কাছ থেকে পাওয়া বর্ণনা ও অভিযুক্তের স্কেচ তৈরি করে তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ৷
যদিও মুম্বইয়ের সিবিডি এলাকায় ওই অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ৷ কিন্তু সেখানে প্রবেশ করতে পারেননি তদন্তকারীরা৷ পুলিশের দাবি, অভিযুক্তের শাশুড়ি, স্ত্রী ও দুই মেয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশে বাধা দেয়৷ তাছাড়া বাড়িতে দু’টো পেল্লাই সাইজের কুকুরও আছে৷ ফলে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তদন্তকারীদের৷
তদন্তকারীদের দাবি, অভিযুক্তের পরিবার দাবি করেছে, তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না৷ অভিযুক্ত কোথায় আছে, তাও তারা জানে না৷ তবে অভিযুক্ত বিহারে গা ঢাকা দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা৷ কারণ, সেখানেই তার বাড়ি৷
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: কলকাতা অনলাইন/এসকে